এশিয়া কাপ রিকার্ভ নারী ব্যক্তিগত ইভেন্টে অল বাংলাদেশ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ভিন্ন দুই সেমিফাইনালে খেলছিলেন বিউটি রায় ও দিয়া সিদ্দিকী। তবে দুই জনের কেউই শেষমেশ ফাইনালে খেলতে পারছেন না। মাত্র এক পয়েন্টের ব্যবধানে দুই সেমিফাইনালে হেরে এখন ব্রোঞ্জ ফাইনালে খেলবেন দু’জনে। 

বিউটির আক্ষেপটা আরও বেশি হওয়ার কথা। তিনি যে হেরেছেন শুট অফে! সেমিফাইনালে তার দ্বৈরথটা ছিল ভারতের আরচ্যার বাজান করের সঙ্গে। 

সেখানে প্রথম সেটেই হেরে বসেছিলেন বিউটি। পরের সেটেই জয় নিয়ে অবশ্য ম্যাচে ফিরে আসেন বিউটি। এর পরের সেটে বাজানের ২৬ স্কোরের বিপরীতে বিউটি তুলতে পারেন ২২। চতুর্থ সেটে আবার এক পয়েন্টের ব্যবধানে জিতে খেলাটাকে পঞ্চম সেটে নিয়ে যান তিনি। দু’জনের সমতা ভাঙেনি শেষ সেটেও। সেখানে দুই জনই ২৬ করে স্কোর করেন।

ফলে শুট অফে যায় খেলা। সেখানেও প্রায় সমতা। বিউটি আট স্কোর করেন। আর বাজান নয়ের বৃত্তের কাছাকাছি তীড় ফেলায় বিউটির আর ফাইনাল খেলা হয়নি। 

অলিম্পিক খেলা বাংলাদেশ আরচ্যার দিয়া সিদ্দিকীর খেলা শুট অফে না গেলেও তিনি লড়েছেন শেষ সেট পর্যন্ত। শেষ সেটে এক পয়েন্টের ব্যবধানে ইরানের আরচ্যার আব্দুল্লাহী মাহতার কাছে হারেন। ২৭-২৬ স্কোরে প্রথম সেট জেতেন দিয়া। পরের সেটে মাহতা ২৮-২৬ ব্যবধানে জেতেন। এর পরের সেটে এক পয়েন্টের ব্যবধানে জেতেন দিয়া। চতুর্থ সেটে এক পয়েন্টের ব্যবধানে জেতেন মাহতা। পঞ্চম ও শেষ সেটে মাহতা ৩০ এর মধ্যে ২৮ স্কোর করেন আর বাংলাদেশের দিয়া করেন ২৭ ফলে ৬-৪ সেটে হেরে ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে নাম লেখান দিয়া। অল বাংলাদেশ ফাইনালের পরিবর্তে অল বাংলাদেশ ব্রোঞ্জ লড়াই হচ্ছে। 

মধ্যাহ্ন বিরতির পর রিকার্ভ নারী ব্যক্তিগতের পাশাপাশি কম্পাউন্ড পুরুষ ব্যক্তিগতও হয়েছে। সেই ইভেন্টে বাংলাদেশের তিন আরচ্যার অংশ নিয়েছিলেন। কোয়ার্টারে বাদ পড়ে যান রাকিব নাওয়াজ আহমেদ। রাকিব পাঁচ সেটে করেন ১৪১ স্কোর আর ভারতের প্রথমেশ বালচন্দ্র করেন ১৪৭। অন্য দুই আরচ্যার আগের রাউন্ডেই বাদ পড়েন। 

এজেড/এনইউ