২২ মে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শেখ কামাল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বার্ষিক সাধারণ সভা। এর আগে এজিএম হয়েছিল ২০১৪ সালে। আট বছর পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সাধারণ সভা আয়োজন করতে যাচ্ছে। 

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এজিএম মানে অধীনস্থ সংস্থাগুলোর নানা দাবি-দাওয়া। ইতোমধ্যে এজিএম উপলক্ষে ফেডারেশন সেক্রেটারি ফোরাম গতকাল এক সভা করেছে। সেই সভায় সাধারণ সম্পাদকদের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে একটি সম্মানী প্রদানের ব্যাপারে প্রস্তাব তোলা হয়। এই প্রস্তাবে কয়েকজন সম্মতি দেন। 

সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যেই সম্মানীর প্রস্তাবনার ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। অনেক সাধারণ সম্পাদক সম্মানীর বিপক্ষে। এতে তাদের সম্মান ও মর্যাদা কমার আশঙ্কা করছেন অনেকে। সাধারণ সম্পাদকরা সম্মানীর আওতায় আসলে নির্বাহী কমিটির অন্যরাও তখন সেই দাবি তুলবে এবং আন্তঃবৈষম্য সৃষ্টি হবে৷ 

বাংলাদেশের ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর মধ্যে শুধু ফুটবল ও ক্রিকেটে সাধারণ সম্পাদক (সিইও) পদটি পেশাদার। বাকি ফেডারেশনগুলোতে এই পদে সংগঠকরা নির্বাচন করে আসেন। নির্বাচিত কর্তাব্যক্তিরা অবৈতনিক হিসেবে কাজ করেন৷ এভাবেই চলে আসছে দীর্ঘদিন। ফুটবল, ক্রিকেট বাদে বাকি ফেডারেশনগুলোর মূল চালিকাশক্তি সাধারণ সম্পাদক। এই পদে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা সময়, শ্রম ছাড়াও আর্থিক ব্যয়ও করেন অনেক।

এনএসসির এজিএমে ফেডারেশনের সভাপতি বরাবর আমন্ত্রণপত্র দেয়া হয়েছে। সাধারণ সম্পাদকদের দাবি তাদের অনুকূলেও এজিএমে অংশগ্রহণের চিঠি দেয়ার। বিগত সময়গুলোতে সভাপতিরাই চিঠি পেয়ে এসেছেন তাদের পরিবর্তে সাধারণ সম্পাদকরা এজিএমে অংশ গ্রহণ করেছেন। ফেডারেশনের মতো জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকরাও এই দাবি করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে পাঁচ-ছয়টি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক দেখা করবেন। এজিএমের আগেই তারা মন্ত্রীর কাছে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরবেন৷ 

১৯৯৮ সালে ক্রীড়াঙ্গনে নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রের শুরু। নির্বাচন অনেক ফেডারেশন ও ক্রীড়া সংস্থায় হলেও বার্ষিক সাধারণ সভা অনিয়মিত। ফেডারেশন ও জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলোর দেখভালের দায়িত্ব সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের। সেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদেরই এজিএম অনিয়মিত হওয়ায় এর অধীনস্থ সংস্থাগুলো সেই পথেই হাঁটে। 

এজেড/এইচএমএ/এটি