দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খেলা এখন আরচ্যারি। এই খেলাটির প্রথম প্রজন্মের খেলোয়াড় জিয়াউল হক। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে কোচ হিসেবেও দ্যুতি ছড়াচ্ছেন জিয়া। সৌদি আরব জাতীয় দলের প্রশিক্ষক হিসেবে আগামীকাল (মঙ্গলবার) দেশ ছাড়ছেন। তার সঙ্গে চুক্তি আপাতত এক বছরের।

অনেক খেলায় বাংলাদেশে বিদেশিরা কোচিং করাতে আসেন। বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদ ও কোচরাও এখন অনেক খেলায় সক্ষমতা অর্জন করেছেন বিদেশের মাটিতে কোচিং করানোর। জিয়া এবার একটু বড় মেয়াদে যাচ্ছেন বিদেশি জাতীয় দলকে কোচিং করাতে। এর আগে খন্ডকালীনভাবে কোচিং করিয়েছেন বেশ কয়েকটি দেশে। 

তীর ধনুক ছেড়েছেন অনেক দিন। এরপর রোমান-দিয়াদের কোচ হিসেবে ছিলেন। জাতীয় আরচ্যারী দলের সহকারী এবং বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র আরচ্যারী প্রশিক্ষক ছিলেন। তিনি ওয়ার্ল্ড আরচ্যারী এশিয়ার আমন্ত্রণে পাকিস্তান আরচ্যার দলকে দুই মেয়াদে, ২০১৭ সালে সোলেমান আইল্যান্ডে জাতীয় আরচ্যরী দলে ১০ দিন, ২০১৫ সালে কলম্বিয়া আরচ্যারী দলের আমন্ত্রণে কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটার বিভাগীয় আরচ্যারী দলের প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন কয়েক মাস। 

সামনের এক বছর জিয়াকে পাবে না বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশন। জিয়ার পরিপূর্ণ বিকল্প না হলেও দেশীয় অন্য কোচরা জার্মান কোচ মার্টিন ফ্রেডরিককে সহায়তা দেবেন। আনসার ভিডিপিতে জিয়ার প্রশিক্ষকের চাকুরিটি ছিল চুক্তিভিত্তিক। ফলে সেখানে ছুটি নেওয়াতে তেমন সমস্যা হয়নি। 

জিয়া ছাড়াও বিদেশে আরচ্যারি কোচিং করাচ্ছেন সাজ্জাদ হোসেন। আরচ্যারী ইতিহাসে সর্ব প্রথম স্বর্ণ পদক জয়ী এই আরচ্যার ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ্স্থ ‘আল মাদাম কালচারাল এন্ড স্পোর্টস ক্লাব’-এ আরচ্যারী প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। বর্তমানে ঐ দেশেই আরো ৩ বছরের চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্য প্রক্রিয়াধীন। এর পূর্বে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আরচ্যারী দলের প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এজেড/এইচএমএ