বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমস শেষ হওয়ার পর দিনই তুরস্কে ইসলামিক সলিডারিটি গেমস শুরু। ইসলামিক গেমসে সাঁতার ফেডারেশন উদীয়মান দুই সাঁতারু ওমর আলী ও টুম্পার নাম দিয়েছিল। বিশ্ব সাঁতার ফেডারেশন ইসলামিক গেমসের সাঁতারে অংশগ্রহণের জন্য একটি স্কোর নির্ধারণ করে দিয়েছে। সেই স্কোর ওমর ও টুম্পার না থাকায় এই গেমসে অংশ নিতে পারবেন না।
 
বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ বলেন, ‘উদীয়মান সাঁতারুদের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার জন্য আমরা দুইজনকে নির্বাচিত করেছিলাম। ইসলামিক গেমস কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনকে ফিনা স্কোর ৬০০ সম্পন্ন সাতারুর নাম দিতে বলেছে। এরপর আমরা তাদের বদলে অন্য দুই সাঁতারুর নাম দিয়েছি।’

ইসলামিক গেমসে সাঁতারে বাংলাদেশের কোটা ছিল দু’টি। একজন পুরুষ ও একজন নারী। বাংলাদেশের কোনো নারী সাঁতারুর ৬০০ ফিনা স্কোর নেই। তাই নারী সাতারুর বদলে দুই পুরুষ সাঁতারুকেই পাঠাচ্ছে ফেডারেশন। সিনিয়র পুরুষ সাঁতারুদের অনেকেরই ৬০০ প্লাস স্কোর রয়েছে। দুই বার অলিম্পিক খেলা মাহফিজুর রহমান সাগরের ফিনা স্কোর সবচেয়ে বেশি।

উদীয়মানরা স্কোরের জন্য বাদ পড়ায় ফেডারেশন চেয়েছিল সাগরকে ইসলামিক গেমসে পাঠাতে। সাগরের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করা যায়নি। ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটি ও সিলেকশন কমিটির অন্যতম সদস্য নিবেদিতা দাস বলেন, ‘সাগর আমাদের বিবেচনায় ছিল। ইসলামিক গেমস থেকে অলিম্পিককে দ্রুত নাম দিতে বলেছিল। সেই সময় নতুন পাসপোর্ট করে নাম দেয়ার সময় ছিল না।’ 

পাসপোর্ট হালনাগাদ রাখা খেলোয়াড় ও ফেডারেশন উভয়রেই সমান দায়িত্ব। গুরুত্বপূর্ণ একটি গেমসে সিনিয়র সাঁতারু পাসপোর্টের জন্য অংশ নিতে পারছেন না। বার্মিংহাম গেমসে অংশ নিয়ে নাহিদ ও আসিফ তুরস্কে ইসলামিক গেমসে বাংলাদেশের সাঁতারের প্রতিনিধিত্ব করবেন। এই গেমসে সাঁতারে কোচ কাম কর্মকর্তা হিসেবে যাবেন সেলিম। এদিকে আজ (১৭ জুন) রাতে হাঙ্গেরীতে বিশ্ব সাঁতার চ্যাম্পিয়নশীপে অংশ নিতে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল।

এজেড/এইচএমএ