এটিএম শামসুজ্জামান।

বাংলাদেশের অন্যতম কিংবদন্তী অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান আজ (শনিবার) সকালে মৃত্যুবরণ করেন। বিশিষ্ট এই অভিনেতার মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন। এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যু বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি। 

এটিএম শামসুজ্জামানের আপন ছোট ভাই সালেহ জামান সেলিম বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের একজন ক্রীড়া সংগঠক। দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্লাব শেখ রাসেল লিমিটেডের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ছিলেন ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবে। 

ভাইয়ের মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন সেলিম বলেন, ‘সবাই আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন। তিনি সংস্কৃতির পাশাপাশি খেলাধুলাকেও অনেক পছন্দ করতেন।’
 
ক্রীড়া সংগঠক সালেহ জামান সেলিমের বড় ভাই ও পুরান ঢাকায় আবাসস্থল হওয়ায় এটিএম শামসুজ্জামানের সঙ্গে অনেক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকের ব্যক্তিগত পরিচয় ছিল। দেশের হকির আতুরঘর বলা চলে পুরান ঢাকা অঞ্চল। এটিএম শামসুজ্জামানের বিদায়ে হকি অঙ্গনের অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে শোক  প্রকাশ করেছেন। 

এছাড়া পুরান ঢাকার ক্লাব ফরাশগঞ্জ,রহমতগঞ্জের অনেক কর্মকর্তা, ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এটিএম শামসুজ্জামানের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। তারাও কৃতি অভিনেতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

দেশের সত্তর দশকের ফুটবলার ও সাবেক ফুটবলারদের সংগঠন সোনালী অতীত ক্লাবের সভাপতি হাসানুজ্জামান খান বাবলু বলেন, ‘ক্রীড়ার সাথে সংস্কৃতির বিশেষ একটা মিল ও টান রয়েছে। আমরা সত্তর আশির দশকে ফুটবলের মাধ্যমে মানুষকে বিনোদন দিয়েছি। শামসুজ্জামান ভাই সেটা করেছেন অভিনয়ের মাধ্যমে। আমরা অনেক অনুষ্ঠানে এক সঙ্গে হয়েছি। তিনি অত্যন্ত ফুটবলানুরাগী ছিলেন। আমার চেয়ে বয়সে একটু সিনিয়র হলেও তার সাথে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।’
 
এজেড/এমএইচ