২৫ জুলাই বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমস খেলতে রওনা হবে টেবিল টেনিস দল। কমনওয়েলথে যাওয়ার এক সপ্তাহ আগে নিজেদের ভেন্যু শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে ফিরেছেন সোমা-মৌরা। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে নিজেদের ভেন্যুতে অনুশীলন করা শুরু করেছে তারা।

শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজের জন্য টেবিল টেনিস দল বিগত পাঁচ মাসের বেশি সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে অনুশীলন করেছে৷ সেখানে স্বল্প আয়তনে বেশ কষ্ট করে অনুশীলন করেছেন টিটি খেলোয়াড়রা৷ পাঁচ মাস পর নিজেদের ভেন্যুতে ফেরে বেশ খুশি টিটি খেলোয়াড়রা।

আরও পড়ুন >> টেবিল টেনিসে বিদেশি কোচের আশ্বাস

টেবিল টেনিস দলের কোচ ও ফেডারেশনের সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘টেবিল টেনিসে বেশি আয়তন প্রয়োজন। আমরা সেখানে এত দিন খুব কম জায়গায় অনুশীলন করেছি। এখন কিছু দিন স্বাচ্ছন্দ্যে অনুশীলন করা যাবে।’

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শেখ জাহাঙ্গীর আরো কয়েকদিন আগে পেলে অনুশীলনে সহায়তা হতো বলে মনে করেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করতে হলে ভালো অনুশীলন প্রয়োজন। আমাদের ভেন্যুতে আরো বেশি অনুশীলন করতে পারলে প্রস্তুতি ভালো হতো।’

আরও পড়ুন >> আইডি কার্ড দেখতে চাওয়ায় টোল বুথের স্টাফকে চড় মারলেন তিনি!

শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামটি উডেনফ্লোর। ২০১০ এসএ গেমসের আগে এটি পুননির্মাণ হয়েছিল। সঠিক কাঠ ব্যবহার না করায় কয়েক বছরের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়। গত কয়েক বছরে অনেক খেলোয়াড় এতে ইনজুরিতে পড়েছেন। 

এবার বেশ সময় নিয়ে গুণগত কাঠ ব্যবহার হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বর্তমান সচিব পরিমল সিংহ এর তদারকি করেছেন। ব্যাডমিন্টন ও টেবিল টেনিস উভয় ফেডারেশন উডেনফ্লোর নিয়ে সন্তুষ্ট। তবে আলো নিয়ে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। টিটি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খোন্দকার হাসান মুনীর সুমন বলেন, ‘টেবিল টেনিসে বোর্ডের উপর ১২০০ লাক্স ও আশেপাশে ৬০০ লাক্স আলো প্রয়োজন। আমাদের সেই অনুযায়ী আলো নেই।’

এজেড/এটি/এইচএমএ