বৈশ্বিক ক্রীড়াযজ্ঞগুলোতে অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেটদের জন্য কনডম বরাদ্দের বিষয়টি বরাবরই আলোচনায় থাকে। বড় পরিসরের এসব আয়োজনের অন্য সব দিকের সঙ্গে নিরাপদ যৌনতার দিকেও নজর থাকে আয়োজকদের। সেজন্য গেমস শুরুর আগেই অ্যাথলেটদের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক কনডম বরাদ্দ করে থাকেন তারা।

২৮ জুলাই জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ২২তম কমনওয়েলথ গেমস। যুক্তরাজ্যের বার্মিংহ্যামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের আসর। এই ক্রীড়াযজ্ঞে অংশ নিচ্ছে ৭২ দেশের প্রায় ৬,৫০০ অ্যাথলেট। তাদের জন্য এবার প্রায় দেড় লাখ কনডম বরাদ্দ করেছে আয়োজকরা। ১২ দিনের এই ক্রীড়াযজ্ঞে একেকজন অ্যাথলেট ২৩টি করে কনডম পাচ্ছেন।

আরও পড়ুন >> রেসলিং রিং মাতাচ্ছেন রকের মেয়ে

কনডম বরাদ্দ প্রসঙ্গে বার্মিংহ্যাম সিটি কাউন্সিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কার্ল বেসে বলেছেন, ’আমরা কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজক কমিটির সঙ্গে দেখা করেছি। গর্ভনিরোধের প্রয়োজন রয়েছে বলেই আমরা মনে করেছি। কমনওয়েলথ গেমসের তিনটি সাইটে ৫০ হাজার করে কনডম মিলিয়ে মোট ১৫০,০০০ কন্ডোম প্রয়োজন। সুতরাং কন্ডোম সরবরাহ করার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে না।’

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, কনডমের স্পনরশিপের জন্যও আলোচনা করছে আয়োজক সংস্থা। গতবছর জাপানে অনুষ্ঠিত টোকিও অলিম্পিকে ১ লাখ ৬০ হাজার কনডম বিলি করা হয়েছিল। ধারে ও ভারে অলিম্পিকের চেয়ে কমনওয়েলথ অনেকটাই পিছিয়ে, তবুও গর্ভনিরোধের সংখ্যার ফারাক সেখানে মাত্র ১০ হাজার। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, নিরাপদ যৌনতাকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই নিচ্ছে ব্রিটিশ আয়োজকরা।

এইচএমএ