গেমস ভিলেজের পাশেই কুস্তির হল। কোনিয়া টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি স্পোর্টস হলে প্রবেশ করতেই শোরগোলের শব্দ। ম্যাটে তুরস্কের কুস্তিগীররা লড়ছেন আর বাইরে উৎসাহ দিচ্ছেন দর্শকরা। অনেক বৃদ্ধকেও দেখা গেল উত্তেজনায় দাড়িয়ে পড়তে।

ফুটবলের জনপ্রিয়তা বিশ্বজোড়া। তুরস্কেও ফুটবল জনপ্রিয়। ফুটবলের পর ও প্রায় সমকক্ষ জনপ্রিয়তা কুস্তিতে। সাফল্যের বিচারে ফুটবলের চেয়ে কুস্তিতে যোজন যোজন এগিয়ে। ফুটবলে তুরস্কের সবচেয়ে বড় সাফল্য ২০০২ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল। সেখানে অলিম্পিকে তুরস্কের  কুস্তির স্বর্ণ সংখ্যা ২৯। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারোত্তোলনে স্বর্ণ কুস্তির চার ভাগেরও কম (৭)। 

২০১২ লন্ডন ও ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে তুরস্ক কন্টিনজেন্টের প্রেস এটাশে ছিলেন তুলাই। চলমান ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের মিডিয়া অ্যাডভাইজর তুলাই কুস্তি সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের দেশে কুস্তি খুবই জনপ্রিয়। অন্য খেলার তুলনায় কুস্তির জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। তবে ফুটবলের বিষয় ভিন্ন।’ গেমস উপলক্ষে বেশ কয়েকটি খেলার ভেন্যুতে যাওয়া হয়েছে। কোনো ভেন্যুতেই কুস্তির মতো সরব দেখা যায়নি। যতক্ষণ ম্যাটে কুস্তিগীররা ছিলেন, ততক্ষণই গ্যালারি সরব। 

তুরস্কের জাতীয় খেলাও কুস্তি। সেটা অবশ্য ‘তেল কুস্তি’। আন্তর্জাতিক কুস্তি ম্যাটে ইনডোর হলে অনুষ্ঠিত হয় সেখানে তেল কুস্তি হয় শরীরে তেল মেখে মাটিতে। দর্শকদের অংশগ্রহণ দুই কুস্তিতেই বেশি।

তুরস্কের কুস্তির জনপ্রিয়তা যখন টের পাওয়া গেল ততক্ষণে বাংলাদেশ কুস্তি দল গেমস থেকে বিদায় নিয়েছে। ইসলামিক সলিডারিটিতে বাংলাদেশের ৩ জন কুস্তিগীর অংশ নিয়েছিলেন। আজ হালিমার ৬৮ কেজি ওজন শ্রেণীতে হারের মাধ্যমে বাংলাদেশের গেমসে কুস্তি ইভেন্ট শেষ হয়েছে। 

আজ শনিবার কোনিয়া টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি স্পোর্টস হলে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে দেড় মিনিট খেলে কিরগিজস্তানের বিপক্ষে ১০-০ পয়েন্টে হেরে যায় হালিমা। দ্বিতীয় ম্যাচে হালিমা দুই মিনিট লড়াই করেও উজবেকিস্তানের কুস্তিগীরের কাছে ১০-০ পয়েন্টে হেরে যায়। আর তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে স্বাগতিক তুরস্কের কুস্তিগীরের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেননি হালিমা আক্তার।  এক মিনিটেরও কম সময়ে ১০-০ পয়েন্টে হেরে আসর থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশের এই নারী এই কুস্তিগীর।

এজেড/এইচএমএ/এটি