টিটি দলের সঙ্গে হৃদয় (নিচের সারিতে ডান থেকে দ্বিতীয়)/ফাইল ছবি

এশিয়ান জুনিয়র টিটি টুর্নামেন্টে এবার প্রথমবারের মতো খেলছে বাংলাদেশ। লাওসে চলমান এই টুর্নামেন্টে দলগত তিন ম্যাচেই বাংলাদেশ ৩-০ সরাসরি সেটে হেরেছে। এমন ভরাডুবির পেছনে দায় আছে দলের সেরা খেলোয়াড় মোহতাসিম আহমেদ হৃদয়ের অনুপস্থিতির। এইচএসসি পরীক্ষার কারণে তিনি বাংলাদেশ দলের সঙ্গে লাওস যাননি। সেই তিনিই কি-না এবার খেলবেন লিগে!

দেশ ছাড়ার আগে দলের কোচ মোহাম্মদ আলী হৃদয়ের অনুপস্থিতি দলে বড় শূন্যতা তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেছিলেন, ‘হৃদয় না থাকলে আমাদের দলগত শক্তি অনেক কমে যাবে’। লাওসে দলগত ইভেন্টে সেটাই হয়েছে। আগামীকাল এশিয়ান জুনিয়র এন্ড ক্যাডেট চ্যাম্পিয়নশিপে একক ও দ্বৈত ইভেন্টের খেলা আছে বাংলাদেশের।

হৃদয় এইচএসসি শিক্ষার্থী। নভেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা। তিনি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এশিয়ান জুনিয়রে খেলতে যাননি। এর আগে ২০১৯ সালে এসএ গেমসেও তিনি এসএসসি পরীক্ষার জন্য খেলেননি। দুইটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টেই পরীক্ষার দুই-আড়াই মাস আগে থাকলেও তিনি দুই বারই দেশের হয়ে খেলেননি। 

দেশের হয়ে না খেললেও আগামী মাসে ঘরোয়া লিগ ঠিকই খেলবেন হৃদয়। তিনি এবার দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ক্লাব ওয়ারীর হয়ে খেলবেন। পরীক্ষার কারণে দেশের হয়ে না খেললেও মাস খানেক আগে ক্লাবের হয়ে লিগ খেলার পেছনে তার যুক্তি, ‘লিগে ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ বিধায় আমাকে খেলতে হবে।’ মূলত আর্থিক কারণেই পরীক্ষার এক মাস আগে হলেও ক্লাবের হয়ে লিগ খেলবেন তিনি এমনটাই ধারণা টিটি সংশ্লিষ্টদের।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়ের ইস্যুতে বলেন, ‘এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমরা বেশি অনুরোধ বা চাপ দিতে পারি না। তবে ২০১৯ সালে সাদিয়া রহমান মৌ এসএসসি পরীক্ষা সামনে রেখেই খেললেও তার ফলাফল অন্যদের চেয়ে খারাপ ছিল না।’ 

এশিয়ান জুনিয়রে ফেডারেশন হৃদয়কে বিশেষ ছাড় দিতে চেয়েছিল, ‘আমরা অনুরোধ করছিলাম মাত্র পাঁচ দিন ক্যাম্প করে দলের সঙ্গে যাওয়ার জন্য। সে আমাদের অনুরোধ রাখেনি। যেহেতু পরীক্ষার প্রস্তুতির কথা বলেছে তাই আমরাও বেশি জোর করিনি।’ 

এত বড় টুর্নামেন্টে না খেলার কারণ সম্পর্কে হৃদয় বলেন, ‘কমনওয়েলথ ও ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে একমাসের বেশি সময় গেছে। অনেক প্রাইভেট মিস হয়েছে। এই টুর্নামেন্টে খেলতে হলে ক্যাম্প করতে হতো এবং প্রাইভেট মিস যেত। আমি ক্যাম্প ছাড়া খেলতে যেতে চাইলেও ফেডারেশন রাজি হয়নি।’

এজেড/এনইউ