বাংলাদেশেও বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস পালিত
চোট খেলাধুলার অবিচ্ছেদ্য অংশ। চোট থেকে খেলোয়াড়, কোচদের সেরে উঠতে ওষুধের পাশাপাশি প্রয়োজন ফিজিও। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনেক দিবস পালিত হলেও বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস সেভাবে পালিত হয় না। তবে এবার এ দিনটি ক্রীড়াঙ্গনেও পালন করেছে পরিষদ ফিজিওথেরাপি এন্ড হেলথকেয়ার সেন্টার। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের চ্যাম্পিয়ন দল বসুন্ধরা কিংসও তাদের ফেসবুক পেজে এ দিনটি প্রতি সম্মান জানিয়েছে।
ক্রিকেট, শুটিং ছাড়া দেশের অধিকাংশ খেলা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এলাকায়। প্রতিদিন এখানে অসংখ্য ক্রীড়াবিদ, সংগঠক, কোচদের যাতায়াত। অনুশীলন অথবা খেলার সময় কেউ ইনজুরিতে পড়লে ছুটতে হতো হাসপাতালে। গত বছর জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে ফিজিওথেরাপি সেন্টার করেছে। এক বছরের মধ্যেই এখন এটি ক্রীড়াঙ্গনের আস্থা ও নির্ভরতার জায়গায় পরিণত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ক্রীড়াঙ্গনে এক দশকের বেশি সময় কাজ করা ফিজিওথেরাপিস্ট আরিফ জোবায়ের বলেন, ‘ওষুধের পাশাপাশি একজন মানুষের সুস্থভাবে বাচতে ফিজিওর প্রয়োজন। বিশেষ করে ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে ফিজিওর সম্পর্ক নিবিড়। আমরা পরিষদ ফিজিওথেরাপি এন্ড হেলথকেয়ার সেন্টার থেকে ক্রীড়াঙ্গনে কাজ করছি। আমাদের বিশ্বাস এই সংস্থার মাধ্যমে গত এক বছরে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আগামীতেও পড়বে।’
মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে একটি কক্ষে এই ফিজিও সেন্টার সেবা প্রদান করছে। ক্রীড়াবিদরা অনেকটা বিনামূল্যেই সেবা পাচ্ছেন। ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা অনেকটা ছাড় পান। নারী ও পুরুষ উভয় রোগী থাকলেও একটি কক্ষ থাকায় স্বাভাবিক সেবা প্রদানে খানিকটা বিঘ্ন ঘটে। এজন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে আরেকটি কক্ষের দাবি এই প্রতিষ্ঠানের।
বিজ্ঞাপন
আজ বিকেলে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের ফিজিওথেরাপি সেন্টারে বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের উপ মহসাচিব আশিকুর রহমান মিকু, মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের প্রশাসক মশিউর রহমান,হ্যান্ডবল ফেডারেশনের কর্মকর্তা ও ক্রীড়া সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এজেড/এনইউ