আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ১২তম তীর জাতীয় আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপ। এবারের জাতীয় আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপের ভেন্যু কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপ সাধারণত টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে হতো। 

এবার কক্সবাজারে আয়োজন করা প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল বলেন, ‘আমরা আরচ্যারদের সব পরিস্থিতিতেই খেলিয়ে অভ্যস্ত করতে চাই। আশা করি প্রতিযোগিরা ভালোই পারফরম্যান্স করতে পারবে।’ 

কক্সবাজারে একটু বেশি বাতাসে রোমান সানারা কেমন পারফরম্যান্স করেন সেটাই দেখার বিষয়। ১ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস। সাধারণত বাংলাদেশ গেমসের বছর ফেডারেশনগুলো জাতীয় চ্যাম্পিয়শিপ আয়োজন করে না। আরচ্যারি ফেডারেশন অবশ্য সেই পথে হাঁটছে না। 

বাংলাদেশ গেমসের আগের মাসেই জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের ব্যাখ্যা দিলেন ফেডারেশনের সভাপতি লে. জেনারেল (অব) মইনুল ইসলাম, ‘আরচ্যারদের জন্য বাংলাদেশ গেমসের আগে এটি প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করবে। আমাদের বাৎসরিক সূচি ও পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে জাতীয় চ্যাম্পিয়শিপ।’

এবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়শিপে ৪০ টি দল ও সংস্থা অংশগ্রহণ করছে। দেশের সকল শীর্ষ আরচ্যাররাই অংশগ্রহণ করবেন এই প্রতিযোগিতায়। রিকার্ভ পুরুষ বিভাগে ৬৮ জন, মহিলা বিভাগে ৩০ জন, কম্পাউন্ড পুরুষ বিভাগে ৩০ জন ও মহিলা বিভাগে ২০ জন অংশগ্রহণ করবেন। 

১ মার্চ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হলেও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে পরের দিন ২ মার্চ। প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান ৪ মার্চ। কম্পাউন্ড ও রিকার্ভ মিলিয়ে মোট ৬০ পদকের লড়াই হবে।

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সভাপতি লে. জেনারেল (অব) মইনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল, সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক জাফর উদ্দিন সিদ্দিকীসহ আরও অনেকে।

এজেড/এমএইচ/এটি