জাতীয় গ্রীষ্মকালীন অ্যাথলেটিকসে বর্ষা নিক্ষেপের রেকর্ড নিয়ে চলছে অ্যাথলেটিকস অঙ্গনে তুমুল আলোচনা। ১৯৯৭ সালে ৪৫.১৫ মিটার ছুঁড়ে আখেরুন নেছা রেকর্ড গড়েছিলেন। ২৫ বছর পর ৪৬.৬ মিটার ছুঁড়ে সেই রেকর্ড ভেঙেছেন একটি দলের একজন অ্যাথলিট। তিনি অধিক দূরত্ব ছুঁড়লেও তার লৈঙ্গিক পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক রেকর্ডধারী আখেরুন নেছা ও এবার এই ইভেন্টে দ্বিতীয় হওয়া নিশাত। তারা দুই জনই ওই অ্যাথলিটকে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে আখ্যায়িত করে ফেডারেশনকে পৃথক আবেদন দিয়েছেন। 

২৪ বছরের বেশি সময় রেকর্ড ধরে রাখা আখিরুন নেসা বলেন, ‘আমি চাই আমার রেকর্ড ভাঙুক। নতুন অ্যাথলেট আসুক কিন্তু তৃতীয় লিঙ্গের একজন যিনি নারী নন তার কাছে আমার রেকর্ড ভেঙে যাওয়া সমীচীন নয়। তাই আমি ফেডারেশনের কাছে দাবি জানিয়েছি, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে আমার রেকর্ড বজায় রাখার জন্য।’  

এই রেকর্ড আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের কোনো কাজেও আসবে না বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘উনি নারী ক্যাটাগরিতে আন্তর্জাতিক কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য বিবেচিত হবে না। ফলে এই ফলাফল ও রেকর্ড বাংলাদেশের অ্যাথলেটিকসে কোনো কাজে আসবে না।’

২০১৯ সালেও তাকে নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এরপর ২০২০ ও ২০২১ সালে তিনি কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নেননি।

অ্যাথলেটিকস সংশ্লিষ্ট অনেকের দাবি, সেই অ্যাথলিটের মধ্যে নারী বৈশিষ্ট্য বেশি। সাবেক অ্যাথলেট ও চিকিৎসক ড. মঈন দীর্ঘদিন অ্যাথলেটিকসের সঙ্গে  জড়িত। তিনি অবশ্য সুনিশ্চিতভাবে এই বিষয়ে কিছু বলেননি। তার মতে, ‘এসব ক্ষেত্রে মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে হবে। সেই পরীক্ষায় ক্রোমোজোমের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়।’

বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র ও আরো কিছু ডকুমেন্টসে তার লিঙ্গ নারী। সেই ভিত্তিতে তিনি এখানে খেলার সুযোগ পেয়েছেন।’

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে এ রকম ঘটনা খুব কম ঘটলেও বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে প্রায়ই শোনা যায়। এমনকি অনেক সময় অ্যাথলেটের মৃত্যুর পরও এ সংক্রান্ত খবর পাওয়া যায়।

এজেড/এটি