ঘরোয়া ক্রীড়াঙ্গনে রেফারিং-আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে হকিতে বিদেশি আম্পায়ারিং নিয়ে হয় হরহামেশাই। আসন্ন প্রিমিয়ার হ্যান্ডবল লিগে আসছে ভারতীয় আম্পায়ার। 

বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনে তিন দশকের বেশি সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনূর।  জানালেন এবারই প্রথম বিদেশি রেফারি হ্যান্ডবল লিগে, ‘দুই জন ভারতীয় রেফারি আসবে। লিগের শুরু থেকেই তারা থাকবে। লিগে অনেক সময় রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্লাবগুলো অসন্তোষ প্রকাশ করে। এজন্য এবার বিদেশি রেফারি আনা হচ্ছে।’ চন্দন সিং ও ট্রেভর সিং নামের দুই রেফারির ১ নভেম্বরের আগেই ঢাকায় পৌছানোর কথা রয়েছে। 

তিন বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রিমিয়ার হ্যান্ডবল লিগ। গত দুই বছর উদ্যোগ নেওয়া হলেও করোনার জন্য হয়নি। এবার মাত্র সাত দিনের মধ্যে শেষ হচ্ছে লিগ। অংশগ্রহণকারী নয় দলকে দুই গ্রুপ করা হয়েছে। দুই গ্রুপের শীর্ষ দুই দল ফাইনাল খেলবে। লিগে টুর্নামেন্টের মতো ফরম্যাট হওয়ার কারণ সম্পর্কে লিগ কমিটির সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিগত সময়ে প্রতিটি দল একে অন্যের সঙ্গে খেলত। এবার ক্লাবগুলো খুব দ্রুত সময়ে লিগ শেষ করতে চেয়েছে। এজন্য এই পদ্ধতিতে খেলা। এটা শুধু এবারের জন্যই।’

হ্যান্ডবল প্রিমিয়ার লিগে নিয়মিত দল কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। এবার তারা লিগে অংশ নিচ্ছে না। কোয়ান্টাম অংশ না নেয়ায় এবার রেলিগেশনও নেই। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত মৌসুমী ইন্ডাস্ট্রিজ কিউটের চেয়ারম্যান কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল। কোয়ান্টামের অংশগ্রহণ না করা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘করোনা পরবর্তী সময়ে কোয়ান্টাম ক্রীড়াঙ্গন থেকে কিছুটা দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধুমাত্র জিমন্যাস্টিক্সে তারা অংশগ্রহণ করছে। সামনে হয়তো হ্যান্ডবলেও আসবে।’ 

হ্যান্ডবল প্রিমিয়ার লিগে পৃষ্ঠপোষকতা করছে কিউট। দীর্ঘ দিন থেকে কিউট হ্যান্ডবলের সঙ্গে যুক্ত। হ্যান্ডবল প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে আজ এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে ফেডারেশন। 

গ্রুপ ক- আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ক্লাব, প্রাইম স্পোর্টিং ক্লাব, ফ্লেইম বয়েজ ক্লাব ও জুরাইন জনতা ক্লাব। 
গ্রুপ খ- নারিন্দা প্রগতি বয়েজ ক্লাব,বাংলা ক্লাব, সূর্যোদয় ক্রীড়া চক্র, মেনজিস ক্রীড়া চক্র।
 
এজেড/এনইআর