ছবি: ঢাকা পোস্ট

বাংলাদেশ স্কোয়াশ অ্যান্ড র‌্যাকেটস ফেডারেশনের ভেন্যু সংকট। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ভেন্যু সংকটে স্কোয়াশ ফেডারেশনকে অনেকটা নির্ভার করলেন, ‘স্কোয়াশ ফেডারেশন রাজধানীর মধ্যে একটি জায়গার সন্ধান পেয়েছে। সেই জায়গা বরাদ্দ নেয়ার জন্য আর্থিক ব্যাপারে আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। আশা করি রাজধানীর বুকে স্কোয়াশের ভেন্যু হবে।’

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্কোয়াশ ফেডারেশনের সভাপতি লে.কর্নেল (অব.) ফারুক খান মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম, জিমনিশিয়াম হচ্ছে। সেখানে স্কোয়াশের জন্য কিছু জায়গা দিলে আমরা স্কোয়াশের মান উন্নয়ন ও বিকাশে কাজ করতে সুবিধা হবে।’ দেশের ১৮৬টি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম তৈরির জন্য পরিকল্পনা একনেকে জমা দেয়া হয়েছে। আপাতত দেশের ২০টি জেলায় ইনডোরসহ খেলোয়াড়দের জন্য জিমন্যাশিয়াম তৈরি করবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। 

সোমবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) ডাচ বাংলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত গ্রেস টোন ভাষা দিবস স্কোয়াশ টুর্নামেন্টের পুরস্কার প্রদান এবং ইস্পাহানী স্বাধীনতা দিবস স্কোয়াশ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সৈয়দ শাহেদ রেজা। তিনি স্কোয়াশ সম্পর্কে বলেন, ‘সামনে বাংলাদেশ গেমস কিন্তু স্কোয়াশকে আমরা রাখতে পারিনি। কারণ স্কোয়াশ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ করেনি। স্কোয়াশ সম্ভাবনাময় খেলা, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিশেয়নের পক্ষ থেকে স্কোয়াশ উন্নয়নে যতটুকু করার আমরা করব।’

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, বিওএ মহাসচিবের স্কোয়াশের প্রতি আন্তরিকতা দেখে নিজেদেরকে চ্যালেঞ্জে রাখছেন। ফেডারেশন সভাপতি ফারুক খান বলেন, ‘তারা আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করার অঙ্গীকার করেছেন। এখন কাজ করার দায়িত্ব আমাদের। এই দায়িত্ব আমাদেরকেই পালন করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের নির্বাহী কমিটি দায়িত্ব পালনে সক্ষম।’ স্কোয়াশ ফেডারেশনের সভাপতি আগামী সাফে পদক জয়ের আশা ব্যক্ত করেছেন, ‘আগামী সাফে আমরা পদক দিতে চাই। আমাদের মেধাবী খেলোয়াড় রয়েছে। ছেলেদের চেয়ে আমাদের নারী খেলোয়াড়রা কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। নারীরাও ছেলেদের আগে পদক আনতে পারে।’

গ্রেস টোন ভাষা দিবস টুর্নামেন্টের অনূর্ধ্ব-১৫ ইভেন্টের পুরুষ বিভাগে আর্মি স্কোয়াশ কমপ্লেক্সের জাহিদ হোসেন চ্যাম্পিয়ন ও নৌবাহিনীর আবরার ইবনে জামিল রানারআপ। নারী বিভাগে বিএএফ শাহিন কলেজের আতিফ ইবনাত চ্যাম্পিয়ন ও রিয়াজুল জান্নাত রানারআপ, অনূর্ধ্ব-১৯ ইভেন্টে উত্তরা ক্লাবের হামজা ইবনে সালেহিন চ্যাম্পিয়ন ও আর্মি স্কোয়াশ কমপ্লেক্সের সোহাগ রানারআপ। উন্মুক্ত পুরুষ বিভাগে উত্তরা ক্লাবের সুমন চ্যাম্পিয়ন ও সেনাবাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল রনি দেবনাথ রানারআপ এবং উন্মুক্ত নারী বিভাগে সৈনিক মারজান আক্তার চ্যাম্পিয়ন ও একই দলের সুনিতা রানী রানারআপ হন।

১২ মার্চ শুরু হওয়া স্বাধীনতা দিবস টুর্নামেন্টে ১২০ জন নারী ও পুরুষ খেলোয়াড় পাঁচটি ইভেন্টে অংশ নেবেন। প্রাথমিক পর্বের খেলাগুলো গুলশান ক্লাব, বিএএফ শাহিন কলেজ ও আর্মি কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে। কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলা হবে চট্টগ্রামে। ২০ মার্চ টুর্নামেন্ট শেষ হবে।

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। এ সময় বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মাসুদ করিম, স্কোয়াশ ফেডারেশনের সভাপতি কর্ণেল (অব.) ফারুক খান, সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিএম কামরুল ইসলাম (অব.) এবং ইস্পাহানীর ওমর হান্নান উপস্থিত ছিলেন। 

এজেড/এটি/টিআইএস