শুক্রবার দিন শীতের বিকেলে আর্মি স্টেডিয়ামের অ্যাথলেট ট্র্যাকে ক্রীড়াঙ্গনের নজর। কে হচ্ছেন দেশের দ্রুততম মানব-মানবী। খুব বেশি চমক হয়নি। ইমরানুর রহমান ও শিরিন আক্তারই দেশ সেরা মানব-মানবী হয়েছেন। ইমরান ১০.৪৯ সেকেন্ড ও শিরিন ১২.২০ সেকেন্ড টাইমিং করে প্রথম হয়েছেন। 

এই বছরের শুরুতে সুমাইয়া দেওয়ানের কাছে দ্রুততম মানবী খেতাব হারিয়েছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে সামারে প্রথম হওয়ার পর জাতীয় অ্যাথলেটিকসেও দ্রুততম মানবীর খেতাব পুনরুদ্ধার করেছেন তিনি। সামার ও জাতীয় মিলিয়ে ১৪ বার দ্রুততম মানবী শিরিন।

তার সামনে রয়েছেন একমাত্র নাজমুন নাহার বিউটি। যিনি বাংলাদেশের নারী অ্যাথলেটিক্সে এক কিংবদন্তি। ২০০৫-১৩ পর্যন্ত মোট ১৭ বার দ্রুততম মানবী হয়েছেন। ২০১০ সালের সামারে শুধু সেরা হতে পারেননি। বিউটির রেকর্ডে শিরিন বেশ নিভৃতেই চোখ রাঙানি দিচ্ছেন, ‘বিউটি আপু কিংবদন্তি। আমি নিজেকে ভালোবাসি। চেষ্টা করি নিজেকে আরো কিছু করার। কারণ আমার দিকে তাকিয়ে অনেক নারী। পড়াশোনা ও খেলা উভয় দিকে আমি প্রথম।’

লন্ডন প্রবাসী ইমরানুর রহমানের লড়াইটা ছিল নিজের ভ্রমণক্লান্তির সঙ্গে। ম্যানচেস্টারে ফ্লাইট ক্যান্সেল হয়েছিল তার। ম্যানচেস্টার থেকে ঢাকায় ফিরতে তাই সময় লেগেছে এক দিনের বেশি সময়। জাতীয় প্রতিযোগিতার এক দিন আগে এসে পৌঁছান দ্রুততম মানব। ১০.৪৯ সেকেন্ড নিয়ে খানিকটা অতৃপ্তি ইমরানের, ‘টাইমিং একটু বেশি হয়েছে। তবে সাফের আগে ভালো প্রস্তুতি নিতে পারলে অবশ্যই দেশকে কিছু দেয়া সম্ভব।’ ইমরানের মতোই স্বপ্ন দেখছেন শিরিন, ‘আমার স্বপ্ন সাফে স্বর্ণ জেতা। বাস্তবতা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।’ 

এজেড/এনইআর