জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে আজ মঙ্গলবার ছিল বঙ্গমাতা ও বঙ্গবন্ধু কাপ টুর্নামেন্টের ফাইনাল পূর্ব সংবাদ সম্মেলন। সেই সংবাদ সম্মেলনেও উঠে এসেছে বডিবিল্ডার জাহিদ হাসানের লাথি দেয়ার প্রসঙ্গ। 

সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি অত্যন্ত আলোচিত। মূল সারির গণমাধ্যমেও উঠে এসেছে বিষয়টি। যে কারণে বিষয়টি নজরে এসেছে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলেরও। বডিবিল্ডার জাহিদ হাসানের লাথি ইস্যুতে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির কথা বলেছেন, ‘এটি এখন অত্যন্ত আলোচিত বিষয়। আমরা বিষয়টি জেনেছি এবং একটি তদন্ত কমিটি করেছি।’ 

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দুই জন কর্মকর্তা এই তদন্ত কমিটির সদস্য। তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে বলে জানান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন।

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে স্বজনপ্রীতি ও ফলাফলে পক্ষপাতের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান একবার স্ট্যাম্প ভেঙেছিলেন আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে। আশির দশকে কিংবদন্তি ফুটবলার এনায়েতুর রহমান খান রেফারিকে লাথিও দিয়েছিলেন। যুগে যুগে এ রকম বিদ্রোহী ক্রীড়াবিদ দেখা যায়। 

জাহিদের এই ঘটনা কিছুটা সজাগ করেছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে, ‘আমরা অন্য সকল ফেডারেশনকেও নজরদারিতে রাখব। সেখানে সঠিকভাবে ফলাফল দেয়া হচ্ছে কি না।’ 

জাতীয় বডিবিল্ডিংয়ে জাহিদ হাসান চার বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এবার তিনি রানার আপ হয়েছেন। জাহিদের দাবি যিনি প্রথম হয়েছেন তার তুলনায় তিনি অত্যন্ত যোগ্য। বিচারকরা সঠিক ফলাফল দেননি। এতে অসন্তোষ হয়ে তিনি পুরস্কার মঞ্চের পর প্রাপ্ত পুরস্কার লাথি দেন। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ, ‘সাদা চোখে বা সাধারণ দৃষ্টিতে দুইজনকে দেখলে (প্রথম যিনি হয়েছেন ও জাহিদ) পার্থক্যটা স্পষ্ট। আমরা যেহেতু টেকনিক্যাল ব্যক্তি নই, সুতরাং মন্তব্য করা যায় না। যারা বিচারক তারা নিশ্চয়ই কোনো মানদণ্ডে এটি ঠিক করেছেন।’

দেশের ক্রীড়াঙ্গন জাতীয় পর্যায় পরিচালিত হয় ফেডারেশনগুলো আর স্থানীয় পর্যায়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে। অনেক ক্রীড়া সংস্থা ও ফেডারেশনে শীর্ষ পদে একই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। এই বিষয়টিও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী পর্যালোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।

এজেড/এনইউ/এটি