অ্যাথলেটিক্স মাদার অফ অল ডিসিপ্লিন হিসেবে খ্যাত। সেই অ্যাথলেটিক্সে এক সময় বাংলাদেশের সোনালী অতীত ছিল। দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম মানব ছিলেন বাংলাদেশি অ্যাথলেটরা। সময়ের বিবর্তনে সেগুলো এখন শুধুই ইতিহাস। 

বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ কয়েকবারই নিয়েছিল। নানা প্রতিবন্ধকতায় সেটা সম্ভব হয়নি। অবশেষে অ্যাথলেটিক্সের পালে হাওয়া লাগছে। ১৪ জানুয়ারি থেকে সারা দেশ ব্যাপী স্কুল ও মাদ্রাসায় অ্যাথলেটিক্স আয়োজন করছে ফেডারেশন। 

অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন শেখ কামাল আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসার এই প্রতিযোগিতার জন্য বাজেট ধরেছে প্রায় ২০ কোটির মতো। ইতোমধ্যে এর প্রায় অর্ধেক টাকা স্পন্সর হিসেবে এসেছে। ক্রীড়াঙ্গনে পৃষ্ঠপোষকতা করা দেশের একটি বড় প্রতিষ্ঠান ফেডারেশনকে কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেছে। অ্যাথলেটিক্সে কোটি টাকার পৃষ্ঠপোষকতকা পাওয়ার রেকর্ড নেই। ১২ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে ফেডারেশন আরো বিস্তারিত জানাবে।

দেশ ব্যাপী তৃণমূলে এত বড় কর্মযজ্ঞ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হাতে নিয়েছে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়াকে ফেডারেশনের সভাপতি করার পরই মূলত এই প্রাণশক্তি পেয়েছে ডিসিপ্লিনটি। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু বলেন,‘আমাদের সম্মানিত সভাপতির একান্ত সহযোগিতাতেই মূলত এই বিশাল একটি কাজ আমরা হাতে নিয়েছি। আশা করছি এই প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হলে অনেক মেধাবী অ্যাথলেট পাওয়া যাবে।’

স্কুল পর্যায়ে ৫ম-৮ম শ্রেণী এক গ্রুপ এবং নবম-দশম শ্রেণী আরেক গ্রুপ করা হয়েছে। স্প্রিন্টের সকল ইভেন্টের সঙ্গে লং,হাই জাম্প, গোলক নিক্ষেপ, জ্যাভলিন রয়েছে। অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের প্রত্যাশা সারা দেশ থেকে অর্ধ কোটির মতো শিক্ষার্থী এতে অংশ নেবে।

বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের অধীনে এখন চলছে শেখ কামাল যুব বাংলাদেশ গেমস। সেই গেমসের মধ্যেই অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনও শেখ কামাল আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা প্রতিযোগিতা পরিচালনা করবে। এই প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন,‘ অলিম্পিকের অধীনে যুব গেমস অ-১৭। নবম-দশম শ্রেণীর অনেকে অলিম্পিকের গেমসে অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে উপজেলা পর্যায়ে সেই গেমস কয়েক দিনের মধ্যেই শেষ হবে। এরপর আমরা শুরু করব’।

অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মডেলই অনুসরণ করছে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। ১৪-২৮ জানুয়ারি ইউনিয়ন,উপজেলা পর্যায়ে,১-৫ ফেব্রুয়ারি জেলা পর্যায়ে ও ৯-১৩ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় পর্যায়ে আন্ত স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিক্স আয়োজিত হবে। এত তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিযোগিতা পরিচালনার অভিজ্ঞতা নেই অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের। তাই স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার উপরই তাদের নির্ভরশীলতা,‘ অ্যাথলেটিক্সের টার্ফ জেলা পর্যায়ে নেই। জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলোই ভালো জানে কোথায় এই আয়োজন সুবিধাজনক হবে। আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করে তারা খেলা আয়োজন করবে।’

কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় অর্ধ কোটি শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় খেলবে। মেধাবী অ্যাথলেট বাছাই প্রক্রিয়া সম্পর্কে সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য,‘জেলা পর্যায়ের খেলার সময় বেশ কয়েকটি জেলায় আমাদের কর্মকর্তা ও ট্যাকনিক্যাল ব্যক্তিরা থাকবেন।’ 

এজেড/এটি