বাংলাদেশে গলফ ও সিদ্দিকুর রহমান যেন সমার্থক। সিদ্দিক গলফের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের নাম ছড়িয়েছেন। বাংলাদেশের শীর্ষ ক্রীড়া সংস্থা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনও এজন্য তাকে সম্মান দিয়েছে। ২০১৬ সালে ব্রাজিলের রিও অলিম্পিকে বাংলাদেশের পতাকা বহন করেছেন সিদ্দিক।

পাঁচ বছর পর তাকে আরেকটি সম্মান দিচ্ছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। আসন্ন বাংলাদেশ গেমসে তিনি সাতারু মাহফুজা খাতুন শিলার সঙ্গে মশাল প্রজ্জ্বলন করবেন। 

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের এই সিদ্ধান্তে কৃতজ্ঞ দেশসেরা এই গলফার, ‘আমার ক্রীড়া জীবনে অন্য রকম এক পাওয়া। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর নামে গেমস। এই গেমস দেশের সকল ডিসিপ্লিনের ক্রীড়াবিদ অংশ নেবে। এমন গেমসে আমাকে মশাল জ্বালানোর সুযোগ দেওয়ায় আমি বিওএর কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।’  

অলিম্পিকে আগে বাংলাদেশের পতাকা বহন করেছিলেন সিদ্দিকুর রহমান। পতাকা বহন না মশাল প্রজ্জ্বলন কোনটা এগিয়ে রাখবেন এই প্রশ্নের উত্তরে সিদ্দিক বলেন, ‘দুইটি ভিন্ন অনুভূতি। অলিম্পিকে প্রায় দুইশ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার একটি মর্যাদা আর দেশের মধ্যে সকল ক্রীড়াবিদ,ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের মধ্যে মশাল প্রজ্জ্বলন করা বিশেষ সম্মানের। দুইটি আমার কাছে অনেক গৌরবের।’
 
২০১৩ সালে অনুষ্ঠেয় সর্বশেষ বাংলাদেশ গেমসে মশাল জ্বালিয়েছিলেন হকির কিংবদন্তী জুম্মন লুসাই। এবারের গেমসে মশাল প্রজ্জলনে নারী-পুরুষ উভয় ক্রীড়াবিদ রাখায় বিওএকে ধন্যবাদ দেন সিদ্দিক, ‘দেশের অন্য সেক্টরের মতো ক্রীড়াঙ্গনেও নারীদের অবদান অনেক। মশাল প্রজ্জ্বলনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভারসাম্য করে বিওএ খুবই সুন্দর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ 

মাহফুজা খাতুন শিলাও দেশের বাইরের গেমসে পতাকা বহন করেছেন। সর্বশেষ ২০১৯ কাঠমান্ডু এসএ গেমসে বাংলাদেশের পতাকা বহন করেছিলেন ২০১৬ এসএ গেমসে রেকর্ডসহ দুই স্বর্ণজয়ী এই সাতারু। এবারের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসে ১৮ জন সাবেক ক্রীড়াবিদ মশাল বহন করবেন। 

প্রজ্জ্বলন করবেন বর্তমান দুই ক্রীড়াবিদ সিদ্দিকুর রহমান ও মাহফুজা খাতুন শিলা। বঙ্গবন্ধুর জেলা গোপালগঞ্জ থেকে মশাল যাত্রা শুরু করবে। ১ এপ্রিল গেমসের উদ্বোধন দিন মশাল জ্বালাবেন সিদ্দিক ও শিলা।

উল্লেখ্য, সিদ্দিকুর রহমান দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অবদান রাখার জন্য জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারও পেয়েছেন।

এমএইচ