বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে সর্বোচ্চ স্বীকৃতি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজটের মতো এই পুরস্কারেও ছিল জট। এই জট নিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই শিরোনাম হতো। বর্তমান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল সেই জট খুলেছেন। ২০২১ ও ২০২২ সালের পুরস্কার প্রদানের কার্যক্রম অনেকটা গুছিয়ে এনেছেন। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। 

জাহিদ আহসান রাসেল ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন ২০১৯ সালে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার সময় ২০১২ পর্যন্ত পুরস্কার প্রদান হয়েছিল। পূর্ববর্তী মন্ত্রী পুরস্কারপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত করলেও হস্তান্তর করতে পারেননি। জাহিদ আহসান রাসেল তার মেয়াদের প্রথম দুই বছর ২০১৯-২০ সহ বিগত ২০১৩-১৮ মোট আট বছরের পুরস্কার গত বছর প্রদান করেছেন।  

২৪ জানুয়ারি ২০২১ ও ২০২২ সালের ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য চুড়ান্তকরণ কমিটির সভা ছিল। সেই সভায় দুই বছরের জন্য চূড়ান্ত হওয়া নামগুলো সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠাবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। দুই বছরের পুরস্কারের কাজ অনেকটা সমাপ্ত হওয়ার দুই দিন পরেই ২০২৩ সালের পুরস্কারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

২৬ জানুয়ারি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গ্রহণ করে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সেই বিজ্ঞপ্তি ফেডারেশন, ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে বিতরণ করেছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ফেডারেশনগুলোকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ক্রীড়াঙ্গনে অবদান রাখা খেলোয়াড়, সংগঠকদের নাম পাঠাতে বলেছে। 

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এক সপ্তাহ সময় নিজেদের হাতে রেখেছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের আবেদনের সময়সীমা দিয়েছে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। 

ক্রীড়াক্ষেত্রে যারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদান রাখেন তাদেরকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে হয়। যা অনেক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকের অনীহা। এই পুরস্কারটি মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত পুরস্কার, সেখানে আবেদনের ভিত্তিকে পুরস্কার প্রদানের নিয়ম থাকায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে আবেদনের নীতিই অনুসরণ হয়। 

ফেডারেশন, সংস্থা, ব্যক্তিগত আবেদনগুলো একত্রে করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মন্ত্রণালয় প্রেরণ করে। পরবর্তীতে পুরস্কার প্রদান সংক্রান্ত দু’টি কমিটি যাচাই-বাছাই করে। তৃতীয় কমিটি মূলত চূড়ান্ত করে।

এজেড/এনইআর