কয়েক মাস আগে মিরপুর ইনডোরে পুরুষদের প্রফেশনাল বক্সিং হয়েছিল। এবার দেশে প্রথমবারের মতো নারী পেশাদার বক্সিংয়ের পথচলা শুরু হলো ‘আন্তর্জাতিক বক্সিং ফাইট নাইট’ এর মাধ্যমে। পুরুষ বক্সিংয়ের চেয়ে নারী পেশাদার বক্সিংয়ের অবয়ব বদলেছে অনেক।

রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলের বল রুমের মাঝে বক্সিংয়ের রিং। চার পাশে দর্শকদের আসন। অধিকাংশই আমন্ত্রিত অতিথি। অভিজাত শ্রেণীর অতিথির সঙ্গে সাধারণ বক্সিংপ্রেমীরাও রয়েছেন। যারা পয়সা খরচ করে ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছেন। 

আজকের রিংয়ে সবচেয়ে আকর্ষণ ছিল ইংল্যান্ডের রুকসানার সঙ্গে বাংলাদেশের তানজিলার লড়াই। বিশ্বখ্যাত বক্সারের সঙ্গে বাংলাদেশের তানজিলা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না অনুমেয় ছিল। তবে প্রথম চার রাউন্ডে যথেষ্ট লড়াই করেছেন তানজিলা। শেষ ৬ রাউন্ডে বিশ্বখ্যাত বক্সারের সঙ্গে পেরে উঠেননি। 

ফাইট শেষে যখন বিজয়ের নাম ঘোষণা হলো তখন ইংল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকাও গায়ে জড়িয়েছেন। রুকসানার জন্ম ইংল্যান্ডে হলেও তার রক্তে বাংলাদেশ। বাবা মা দুইজনই বাংলাদেশি। তাই তো সারাবিশ্বে পদক জেতা রুকসানা এখানে বেল্ট জিতে বেশ উচ্ছ্বসিত, ' বাংলাদেশে জিতে বাড়তি আনন্দ পাচ্ছি। এখানকার পরিবেশ, আতিথিয়েতা সকল কিছুই দারুণ'। তানজিলার সঙ্গে লড়াটাও উপভোগ করেছেন এই বক্সার। 

সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস তানজিলা ও রুকসানার লড়াইটা যথেষ্ট উপভোগ করেছেন, 'দারুণ এক উদ্যোগ। আমাদের দেশের বক্সারও দারুণ লড়ছে। এ রকম প্রতিযোগিতা আরো করলে ব্যবধান আরো কমে যাবে। 

তানজিলা-রুকসানা লড়াইয়ের পর রিংয়ে নেমেছিলেন পুরুষ বক্সার সুর কৃষ্ণ চাকমা। বাংলাদেশের পেশাদার এই বক্সার থাইল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন পোনলাওয়াত নানচিন্দাকে।

এজেড/এফআই