বডিবিল্ডার জাহিদ হাসান শুভ

পুরস্কারে বডিবিল্ডার জাহিদ হাসান শুভ’র লাথি মারার ঘটনায় গত বছরের ডিসেম্বরে ক্রীড়াঙ্গন ও সামাজিক মাধ্যম ছিল তোলপাড়। সেটি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের দৃষ্টিতে পড়েছিল। পরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তা আবুল হোসেন (যুগ্ম সচিব) ও লিয়াকত আলীর (উপ-সচিব) ওপর শরীরগঠনের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় এই দুই কর্মকর্তা তদন্তের স্বার্থে নানা পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। পরে গত সপ্তাহে তারা কয়েক পাতার তদন্ত রিপোর্ট পাঠান জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে। সেই তদন্ত প্রতিবেদনে শুভ’র ঘটনা নানাভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তদন্তকারীরা ফেডারেশনের অনেক কর্মকর্তার সঙ্গেও আলাপ করেছেন। সেই আলাপে শুভকে বহিষ্কারের জন্য জরুরি সভার বিষয়টি নিয়ে সংশয়পূর্ণ বক্তব্য দেন অনেকে। তদন্ত প্রতিবেদনের বিভিন্ন জায়গায় নানা জনের মন্তব্যে উঠে এসেছে সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের অতিরিক্ত কর্তৃত্বের বিষয়।

কয়েক পাতার তদন্ত প্রতিবেদনের শেষ পাতায় সাতটি মতামত/সুপারিশ দিয়েছে তদন্ত কমিটি। প্রথম সুপারিশটি বডিবিল্ডিংয়ে বর্তমান কমিটির বিলুপ্তি প্রসঙ্গে। শরীরগঠন ফেডারেশনের বর্তমান কমিটি ২০১৯ সালে ২১ মে নির্বাচিত হয়। আগামী ২০ মে তাদের চার বছরের মেয়াদ শেষ হবে। তবে দুই মাস আগে নির্বাচক কমিটি ভাঙার বিষয়ে খানিকটা দোটানায় রয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। কেননা, নির্বাচিত কমিটি ভেঙে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বেকায়দায় পড়ার ঘটনা রয়েছে। তবে তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে কমিটি ভাঙলে আইনি বিষয় তাদের পক্ষে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, জাহিদ হাসান শুভকে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্তটি তদন্ত কমিটির কাছে অতিরঞ্জিত মনে হয়েছে। আজীবনের পরিবর্তে সাময়িক বহিষ্কারাদেশের পাশাপাশি ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির বাইরে স্বাধীন বিচারক প্যানেল রাখার পরামর্শ দিয়েছে তদন্ত কমিটি।

এজেড/এএইচএস