রোমান সানাদের নিয়ে এবার প্রত্যাশা এশিয়ান আরচ্যারিতে
এসএ গেমসের সব পদক জয়ের পর রোমান সানারা। সে দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি আবারও চায় আরচ্যারি/ফাইল ছবি
বিশ্বকাপে পদক এসেছে, তাতে আরচ্যার রোমান সানা অলিম্পিকেও উত্তীর্ণ হয়েছেন। এরপর রোমান আর তার সতীর্থদের কল্যাণে এসেছে দক্ষিণ এশীয় গেমসের সব স্বর্ণপদকও। তবে এশিয়ান আরচ্যারিতে সে সাফল্যটা এখনো ধরা দেয়নি বাংলাদেশের কাছে। আসছে নভেম্বরে বাংলাদেশেই অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতাটির ২২তম আসর। এ আসরেই সে আক্ষেপ ঘোচাতে চান কোচ মার্টিন ফ্রেডরিক।
দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ ১০ ইভেন্টের ১০ টি স্বর্ণ পেলেও এশিয়ান আরচ্যারিতে পদক শুন্য। বাংলাদেশের জার্মান কোচ ফ্রেডরিক মার্টিন একটি পদক লক্ষ্য করেছেন, ‘এশিয়ান আরচ্যারিতে বাংলাদেশের পদক নেই। আমার চেষ্টা থাকবে পদক বন্ধ্যাত্ব ঘুচানো। অন্তত একটা পদক জয়ের চেষ্টা করব। এর পাশাপাশি কয়েকটি ইভেন্টে সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্য থাকবে।’
বিজ্ঞাপন
সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রের জন্য সুনাম বয়ে আনছে আরচ্যারি। খুব বেশি সময় হয়নি আরচ্যারি ফেডারেশনের পথচলা। এরই মধ্যে মাঠ ও মাঠের বাইরে সমান সাফল্য দেখিয়ে চলছে ফেডারেশনটি। মাঠে যেমন অর্জন করেছে টোকিও অলিম্পিকসে সরাসরি খেলার যোগ্যতা, মাঠের বাইরের খেলাতেও সফল আরচ্যারি ফেডারেশন। চার বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয় বারের মতো আয়োজন করছে এশিয়ান আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশীপ।
তবে আসছে নভেম্বরের আসরের ভেন্যু যাচ্ছে বদলে। ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়েছিল প্রতিযোগিতাটি। তবে এবারের ভেন্যু বনানীর আর্মি স্টেডিয়াম।
বিজ্ঞাপন
টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামকে আরচ্যারি ফেডারেশনকে বরাদ্দ দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সেখানে ইসলামিক সলিডারিটি আরচ্যারি ও অন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করলেও এশিয়ানের জন্য এবার ভেন্যু আর্মি স্টেডিয়াম। ভেন্যু সম্পর্কে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল বলেন, ‘আমাদের টঙ্গী ভেন্যু ছোট হয়ে যায় এত বড় আয়োজনের জন্য। তাই এবার আর্মি স্টেডিয়ামকে বিবেচনা করেছি আমরা।’
অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা নিয়ে এশিয়ান আরচ্যারি ফেডারেশনের প্রথম সহ-সভাপতি বললেন, ‘এবারে ৪০ টির বেশি অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। শেষ মুহূর্তে দু’একটি দেশ কোনো কারণে যদি আসতে নাও পারে, তাহলেও ৪০ বা ৪০ এর খুব কাছাকাছি থাকবে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা।’
১৩-১৯ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান আরচ্যারির এই আসর। এর আগে ১২ নভেম্বর হবে এশিয়ান আরচ্যারির কংগ্রেস। কংগ্রেস, চ্যাম্পিয়নশীপের পাশাপাশি হবে জয়েন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রাম। চ্যাম্পিয়নশীপ শেষ হওয়ার পর এক দিন বিরতি দিয়ে ২১-২৫ নভেম্বর চলবে বিশ্ব আরচ্যারি এশিয়ার যৌথ প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম।
এজেড/এনইউ