২০২৬ কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজক খুঁজে পেতে বেশ কাঠখড় পোহাতে হয়েছিল ফেডারেশনকে (সিজিএফ)। এরপর গত বছরের এপ্রিলে তারা অস্ট্রেলিয়ান রাজ্য ভিক্টোরিয়াকে আয়োজক হিসেবে বেছে নেয়। তবে অতিরিক্ত খরচের কারণ দেখিয়ে ভিক্টোরিয়া আসরটি আয়োজন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। ফলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে পরবর্তী কমনওয়েলথ গেমস নিয়ে!

আজ (১৮ জুলাই) ভিক্টোরিয়ার প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুস জানিয়েছেন, বর্তমানে তাদের প্রাথমিক ধারণার চেয়ে তিন গুণ খরচ বেড়েছে। যা বহন করা তাদের জন্য ‘সত্যিকার অর্থেই অতিরিক্ত’ হয়ে গেছে। এর আগে তারা আনুমানিক খরচ ধরেছিল ২৬০ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ১২ দিনের এই আসরে খরচ হবে মূলত ৬০০ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলারেরও বেশি।

তিনি আরও জানান, ‘আমি হাসপাতাল ও স্কুল থেকে টাকা নিয়ে এমন একটা ইভেন্ট আয়োজন করব না, যেটিতে গত বছর যা ধারণা করা হয়েছিল, তার তিন গুণ ব্যয় হবে। ২০২৬ সালে ভিক্টোরিয়ায় এ গেমস হবে না। আমরা কমনওয়েলথ গেমস কর্তৃপক্ষকে চুক্তি বাতিলের জন্য আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছি।’

তবে হুট করে দেওয়া তাদের এই ঘোষণায় চরম হতাশ সিজিএফ। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলছে, ‘আমরা হতাশ। মাত্র আট ঘণ্টার নোটিশ দেওয়া হয়েছে আমাদের। সরকারের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে যৌথভাবে অর্থলগ্নি করা যায় কিনা, সেটিও বিবেচনায় আনা হয়নি।’

বর্ণাঢ্য আয়োজনে গত আসরটি বসেছিল ইংল্যান্ডের বার্মিংহ্যামে

কেবল এই বছরই নয়, গত কয়েক বছর ধরেই টুর্নামেন্টের আয়োজক খুঁজে পেতে সিজিএফকে বেশ ভুগতে হয়েছে। সবশেষ ২০২২ আসরের আয়োজক স্বত্ব প্রাথমিকভাবে দেওয়া হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার শহর ডারবানকে। কিন্তু অর্থের সমস্যা ও মূল সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় ২০১৭ সালে তাদের আয়োজক স্বত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। ৯ মাস পর আসরটি আয়োজনে রাজি হয় ইংল্যান্ডের শহর বার্মিংহ্যাম।

গেমসটি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচবার আয়োজন করেছে অস্ট্রেলিয়া।যার সবশেষটি ২০১৮ সালে গোল্ড কোস্টে। বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে কমওয়েলথ গেমস হয় ৪ বছর পরপর। গেমসে অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬ দেশের হতে হয়। এর আগে গেমসটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে একবারই বাতিল হয়েছিল। 

এএইচএস