এ যেন নিজের সঙ্গেই নিজের লড়াই। রেকর্ড-বুকে বারবার নিজেকেই ছাড়িয়ে যাওয়া। বলা হচ্ছে এসএ গেমসে টানা দু’বার সোনাজয়ী ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্তর কথা। তিন বছর আগে আন্ত:সার্ভিস জাতীয় ভারোত্তোলনে ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণির স্ন্যাচে ৭৯ এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১০০ তুলে রেকন্ড গড়েছিলেন। এবার বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসে ছাড়িয়ে গেলেন নিজের করা সেই রেকর্ড।

বুধবার (৭ এপ্রিল) সকালে ময়মনসিংহ জেলা জিমনেসিয়ামে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় স্ন্যাচে ৮০ এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১০১ মিলিয়ে মোট ১৮১ কেজি তুলে তিনটিতেই নিজের রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকন্ড গড়ে সোনা জিতেন বাংলাদেশ আনসারের এ ভারোত্তোলক। দুপুরে পুরস্কার প্রদাণ অনুষ্ঠানে তাকে মেডেল পরিয়ে দেন ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রীর সভাপতি আমিনুল হক শামীম সিআইপি। 

নারীদের ৬৪ কেজি ওজন শ্রেণির স্ন্যাচ এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্ক মিলিয়ে ১৩২ তুলে বাংলাদেশ সেনাবহিনীর মিলা আক্তার দ্বিতীয় ও মোট ১১৬ কেজি তুলে তৃতীয় হন ঢাকার সিপাহী যুব সংঘের লাবনী আক্তার।

রেকর্ড গড়েই একান্ত সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি হলেন ঢাকা পোস্টের। জানিয়েছেন রেকর্ড গড়ার অনুভূতি, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা...

রেকর্ড গড়ার অনুভূতি কেমন? 

মাবিয়া আক্তার সীমান্ত: আমার রেকর্ড যেন জুনিয়রদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। প্রতিবছরই চেষ্টা করি নিজের যে রেকর্ড আছে সেটি টাচ করা ও ইমপ্রোভ করা। এই ভারোত্তোলনে একটি ইতিহাস রচনার করার চেষ্টা করছি।

রেকর্ডগড়া জয়ের পর পদক নিচ্ছেন মাবিয়া/ঢাকা পোস্ট

স্বপ্ন পূরণের পেছনে শক্তি কোথায় পান?

মাবিয়া: আমার লক্ষ্য কিংবা স্বপ্ন হচ্ছে অলিম্পিক। অলিম্পিককেই সব সময় অনুসরণ করি এবং সেভাবেই অনুশীলন করি। আমার ফোকাসটা সেখানেই। মাঝে যেসব খেলা আসবে সেগুলো প্রস্তুতি ম্যাচ মনে করেই প্রতিযোগিতা করবো।

নিজেকে কোন জায়গায় দেখতে চান?

মাবিয়া: আসলে নিজেকে অলিম্পিকে দেখার পরে আর কোথায় দেখতে হয় না। আমি নিজেকে সেখানেই দেখতে চাই। এটাই আমার মূল লক্ষ্য এবং বাংলাদেশে সবচেয়ে রেকন্ডধারী নারী খেলোয়াড় হিসেবে থাকতে চাই।

এটি/এনইউ