বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের পর্দা নামছে আগামীকাল শনিবার। চলমান করোনা মহামারির জন্য সমাপনী অনুষ্ঠানে বড় ধরনের অনুষ্ঠান থাকছে না। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের গেট উন্মুক্ত করা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় পবিত্র কোরআন শরীফ পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হবে। 

এরপর জাতীয় সংগীত বেজে উঠবে। জাতীয় সংগীতের পরপরই কয়েকটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য।  বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব, সভাপতি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন। অর্থ মন্ত্রী ও গেমস সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান আ হ ম মুস্তফা কামাল সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। ভার্চুয়ালি তিনি অনুষ্ঠানের সমাপনীতে যুক্ত থাকবেন বলে জানা গেছে। প্রথম পর্বের এই অনুষ্ঠানের দৈর্ঘ্য ত্রিশ মিনিট। 

দ্বিতীয় পর্বের দৈর্ঘ্যও ত্রিশ মিনিট। সন্ধ্যা সাতটায় পনের মিনিটের একটি ভিজুয়াল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দশ দিনের গেমসের চিত্র তুলে ধরা হবে। সোয়া সাতটায় কয়েক মিনিটের সংক্ষিপ্ত লেজার শো হবে। লেজার শো শেষে গেমসের মশাল নেভানোর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটবে। আগামীকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে। 

১ এপ্রিল সন্ধ্যা সাতটা ৪১ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গেমসের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেছিলেন। এরপর পুরো দেশে ‘লকডাউন’ বা কঠোর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হলেও থামেনি এই গেমস।

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ও গেমস স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ (মামুন ) বলেন, ‘আমরা গেমসের সুন্দর সমাপ্তির অপেক্ষায়। উদ্বোধনটা জাকজমক হলেও চলমান করোনা প্রেক্ষাপটে আমরা সমাপনী অনুষ্ঠান খুবই স্বল্প আকারে করছি। সাংস্কৃতিক পর্ব সেভাবে থাকছে না।’ 

৩১ ডিসিপ্লিনে ৩৭৮ স্বর্ণের জন্য লড়াই করেছেন ক্রীড়াবিদরা। একশর উপর স্বর্ণ নিয়ে বাংলাদেশ আনসার তাদের শীর্ষস্থান বজায় রাখার অপেক্ষায়। আগের গেমসেও বাংলাদেশ আনসার সেরা হয়েছিল। পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

এজেড/এমএইচ