দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের সমাপনী অনুষ্ঠানে অলিম্পিকে পদক জয়ের ব্যাপারে স্বপ্ন দেখছেন। এই সময় তিনি লকডাউনেও বাংলাদেশ গেমস সচল রাখায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

রাসেল বলেন, ‘আমদের খেলোয়াড়েরা সকল প্রতিকূলতার মাঝেও তাদের প্রশিক্ষন কার্যক্রম অব্যাহত রেখে গেমসে সর্বোচ্চ নৈপুন্য প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের এই অর্জনের সাথে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশন, সংস্থা এবং প্রশিক্ষকদের আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের এই অনন্য প্রচেষ্টা ভবিষ্যতে আমাদের আরও বড় অর্জনের সম্ভাবনার আশা উন্মোচন করেছে।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস-২০২০-এর সফল আয়োজন  বিভিন্ন খেলায় প্রতিভাবান খেলোয়াড় নির্বাচন করতে সমর্থ  হয়েছে যা অদূর ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ভালো ফলাফল অর্জন করে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে। সেই দিন বেশি দূরে নেই যেদিন আমরা অলিম্পিকের মত বড় ক্রীড়া আসরেও পদক অর্জন করতে সক্ষম হব।’

অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে গেমস শেষ পর্যন্ত সফল হওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, ‘গেমস উদ্বোধনের পরপরই করোনার সংক্রমণ রোধকল্পে সরকার কর্তৃক লকডাউন জারি করা হয়। অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সকল কার্যক্রম সফল ভাবে পরিচালনা পূর্বক আজকের এই সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আমি প্রথমেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, এমপি, সাংগঠনিক কমিটি, সকল উপ-কমিটি, সরকারি-বেসরকারী সকল সংস্থা, অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়-কর্মকর্তা এবং সর্বোপরি বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সকল কর্মকর্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
 
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত এ জাতীয় ক্রীড়ানুষ্ঠানের সাংগঠনিক কমিটির কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়ে মন্ত্রী গর্বিত বোধ করছেন। গেমসের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান অর্থমন্ত্রীকে বিশেষ ধন্যবাদ দিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, ‘অর্থমন্ত্রী শুধু অর্থই বরাদ্দই করেননি, সময়, শ্রম ও সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। বর্তমান সরকার খেলাধুলার মানোন্নয়নে ও উৎকর্ষ সাধনে খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছে। খেলাধুলার জন্য মাঠ, স্টেডিয়াম নির্মানের সঙ্গে অন্যান্য অবকাঠামোও গড়ে তোলা হয়েছে সরকারী উদ্যোগে।’ 

এজেড/এমএইচ