বাংলাদেশ গেমসের উদ্বোধনী দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিশেয়ন। গেমস শেষ হওয়ার পরের দিন আজ (রোববার) বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ভবনে বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা মেধাবী ক্রীড়াবিদদের ঝড়ে যেতে দেব না। যারা ভালো ফলাফল ও রেকর্ড করেছে তাদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।’ কতজনকে এই উন্নত প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে বা কত দিনের জন্য সেই বিষয়টি এখনো ঠিক হয়নি বলে জানান বিওএ মহাসচিব, ‘সামনে আমাদের নির্বাহী কমিটির সভা হবে। সেই সভা শেষে আমরা উন্নত প্রশিক্ষণের কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।’

বাংলাদেশ গেমস অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে গেছে। শত প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে গেলেও গেমস সফল হয়েছে বলে দাবি বিওএ এই শীর্ষ কর্তার, ‘গেমসে কোনো ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি। বেশ সুন্দরভাবেই শেষ হয়েছে সকল খেলা। অনেক খেলাতেই রেকর্ড হয়েছে।’ 

বিওএর কোষাধ্যক্ষ কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল গেমসের মেডেল সম্পর্কে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নামে গেমস হওয়ায় আমরা সেরা পদক দেওয়ার চেষ্টা করেছি। শুধু দামে নয়, মানের দিক থেকেও পদকটি ছিল অনন্য ও আকষর্ণীয়।’

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন বিশেষ বৃত্তির আওতায় মেধাবী কয়েকজন অ্যাথলেটদের পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকেন। সেই সংখ্যাটা দশের নিচেই। এবার গেমসে রেকর্ড হয়েছে ৬০টি। প্রায় অর্ধশতাধিক ক্রীড়াবিদ এই রেকর্ড গড়েছেন। কতজনকে বিওএ বিশেষ উন্নত প্রশিক্ষণের আওতায় রাখতে পারে সেটার উত্তর সময় বলবে। 

এজেড/এমএইচ