আদম পাচারের অভিযোগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সহ-সভাপতি পদ থেকে মোস্তাফিজুর রহমানকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে কারাতে ফেডারেশন। ঐ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন অভিযুক্ত সহ-সভাপতি।

১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট ফেডারেশনের বহিষ্কারাদেশ সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না এই মর্মে রুল জারি করে। কারাতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ক্যা শৈ হ্লা হাইকোর্ট বিভাগের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সিভিল আপিল দায়ের করেন। আপিল বিভাগের চেম্বার জজ শুনানী শেষে ১৫ নভেম্বর বিষয়বস্তুর উপর দুই পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন।

আজ বৃহস্পতিবার কারাতে ফেডারেশন থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্টের এই স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের পরবর্তী আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত মোস্তাফিজুর রহমান কারাতে ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না এবং ফেডারেশনও ওই পদে নতুন কাউকে নির্বাচিত করতে পারবে না।

উক্ত সিভিল আপিলে বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার মাহিন এম. রহমান এবং মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া শুনানি করেন।

এশিয়ান গেমসে কারাতে বাংলাদেশকে লজ্জায় ডুবিয়েছে। সেই লজ্জার আগেই কারাতে ফেডারেশন মোস্তাফিজের অভিযোগ তদন্ত করে নির্বাহী সভায় বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও মোস্তাফিজ তার ওপর আনীত অভিযোগ, তদন্ত এবং সিদ্ধান্ত সবই উদ্দেশ্যপ্রণোদীত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এজেড/এইচজেএস