জীবনে কী দেখেননি তিনি! দু-দুটো বিশ্বযুদ্ধ দেখেছেন, বিশ্বযুদ্ধে অলিম্পিককে থমকে যেতে দেখেছেন, নিজ দেশকে দেখেছেন যুদ্ধের বড় শিকার বনে যেতেও; এর আগে-পরে দুটো মহামারী দেখছেন, ফুটবল বিশ্বকাপের জন্ম দেখেছেন… এতোসব কিছু দেখার পর এমনিতেই একজনের ইতিহাস বনে যাওয়ার কথা। কিন্তু শিগেকো কাগাওয়া এখানেই থামেননি, ১০৯ বছরে অলিম্পিক মশাল হাতে নিয়ে বনে গেছেন ইতিহাসের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক মশালধারী।

নারা প্রিফেকচারে অলিম্পিক মশালটি হাতে নিয়ে এই কীর্তি গড়েছেন জাপানি এই নারী। ভেঙে ফেলেছেন গেল অলিম্পিকেই গড়া রেকর্ডটি। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে ব্রাজিলিয়ান নারী আইদা মেন্দেস ব্রাজিলের মাকাপায় অলিম্পিকের মশাল হাতে নিয়ে গড়েছিলেন এই কীর্তি।

অলিম্পিকের মশাল গত ২৫ মার্চ থেকে যাত্রা শুরু করেছে। এরপর থেকে শিগেকোসহ শতবর্ষী কেউ এ মশাল হাতে নিয়েছে দুই বার। এর আগে গত ২৮ মার্চ তোচিগি প্রিফেকচারের নাসুকারাসুয়ামায় দারুণ বৃষ্টিতেও মশাল নিয়ে এগিয়েছিলেন ১০৪ বছর বয়সী নাপিত শিতসুই হাকোইশি। তার অবশ্য রেকর্ড হয়নি কোনো। 

তবে শিগেকোর রেকর্ডটাও খুব বেশিদিন টিকবে না। আগামী মাসেই মশাল যাত্রায় অংশ নেবেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ কানে তানাকা। ১১৭ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিক অলিম্পিক মশালটি হাতে নিলেই ভেঙে যাবে শিগেকোর রেকর্ডটি। আগামী ১২ মে যখন অলিম্পিক মশালটি শিমের ফুকোকা প্রিফেকচার হয়ে সামনে এগোবে, তখন তা হাতে নেওয়ার কথা তানাকার।

এনইউ/এটি