বাংলাদেশের উদীয়মান সাঁতারু সামিউল ইসলাম রাফি। সর্বশেষ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে তিনটি স্বর্ণের সবকটিতেই জাতীয় রেকর্ড গড়ে তিনি সেরা সাঁতারু হয়েছেন। এই সাঁতারু ওয়ার্ল্ড অ্যাকুইস্টিকের (আন্তর্জাতিক সাতার ফেডারেশনের নতুন নাম) বৃত্তিতে গতকাল বাংলাদেশ ছেড়েছেন। থাইল্যান্ডের ফুকেটে আগামী বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নেবেন রাফি।

দীর্ঘমেয়াদী এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে। এশিয়ান গেমস ও জাতীয় সাঁতারে অংশগ্রহণের পাশাপাশি ভিসা জটিলতায় রাফি মাস তিনেক পর এই প্রশিক্ষণে যোগ দিচ্ছেন। থাইল্যান্ডের আবাসিক ও আনুষঙ্গিক সকল ব্যয়ের পাশাপাশি যাতায়াত ব্যয়ও ওয়ার্ল্ড অ্যাকুইস্টিক বহন করছে।
 
২০২২ সালের ডিসেম্বরে ওয়ার্ল্ড অ্যাকুইস্টিক তাদের অধীভুক্ত দেশগুলোকে ২০২৩-২৪ বৃত্তির জন্য আবেদনের আহবান জানায়। আবেদনের অন্যতম শর্ত ছিল বয়স ১৮’র নিচে এবং সাঁতারের বৈশ্বিক কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ। বাংলাদেশে এই শর্ত পূরণ হয় কেবল রাফির। তাই সাঁতার ফেডারেশন রাফির জন্যই আবেদন করে। সেই আবেদন পর্যালোচনা করে চলতি বছরের আগস্টে তাকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করে ১ সেপ্টেম্বর তাকে থাইল্যান্ডের ফুকেট যাওয়ার নির্দেশনা দেয়। 

সেপ্টেম্বরে এশিয়ান গেমসের জন্য রাফির এন্ট্রি ছিল। এশিয়ান গেমস ও জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ শেষে ভিসার আবেদন করা হয় তার। প্রথমে তিনি তিন মাসের ভিসা পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে পূর্ণ এক বছরের ভিসার জন্য আবেদন করে সেই ভিসা পেয়ে দেশ ছেড়েছেন গতকাল। থাইল্যান্ডের ফুকেটে এর আগে দেশসেরা এই সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগরের কাছে কয়েক বছর অনুশীলন করেছেন। সেটি ছিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির আওতায় বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি। সাগরের পর আরেক সাঁতারু আরিফ প্যারিস ছিলেন সেই বৃত্তির আওতায়। রাফির এই বৃত্তি বিশ্ব সাঁতার ফেডারেশনের।

এজেড/এএইচএস