দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অনুশীলন করছেন বাংলাদেশের জিমন্যাস্টরা। বিশ্ব জিমন্যাস্টিক্সে দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষ দেশগুলোর একটি। সেই দেশে বাংলাদেশি ১১ জিমন্যাস্ট অনুশীলন করছেন। তাদের সঙ্গে রয়েছেন তিন জন কোচও। এটা বাংলাদেশের জিমন্যাস্টিক্সে বিশেষ ঘটনা।

দলীয় ডিসিপ্লিনের বাইরে ব্যক্তিগত নির্ভর খেলায় দশের অধিক খেলোয়াড় বিদেশে কয়েক সপ্তাহ অনুশীলনের সুযোগ সেভাবে পায় না। অনেক সময় আন্তরিক সম্পর্কে বন্ধুপ্রতীম বিদেশি ফেডারেশন আবাসন সুবিধা দিলেও যাতায়াত ব্যয়টাও বহন করা সম্ভব হয় না দেশের অনেক ফেডারেশনের। এজন্য অনেক অনুশীলন, টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ হয় না বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের।

দক্ষিণ কোরিয়ার দুই সপ্তাহের সফরটি অবশ্য অনেকটা সৌজন্যমূলকই। বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জামিল বলেন, 'দক্ষিণ কোরিয়া জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশন প্রায় সম্পূর্ণ খরচই বহন করছে। বিমান টিকিট থেকে শুরু করে সবই। দক্ষিণ কোরিয়ার জিমন্যাস্টিক্সের সঙ্গে তাদের অলিম্পিক এসোসিয়েশনও সহায়তা করছে।'

বাংলাদেশ জিমন্যাস্ট দলের হেড কোচও দক্ষিণ কোরিয়ান। দক্ষিণ কোরিয়ার অলিম্পিয়ান জিমন্যাস্টদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ এবং অনুশীলনের সুযোগ মিলবে এই সফরে। তাই কোরিয়া সফর থেকে বাংলাদেশ জিমন্যাস্টদের ভালো একটা শিক্ষা প্রাপ্তির প্রত্যাশা রয়েছে। ৫ ডিসেম্বর সিউল পৌঁছায় বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিক্স দল। তারা ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা ফিরবে।

এজেড/এইচজেএস