এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে আজ সবার আগ্রহ ছিল ইমরানের ইভেন্ট নিয়ে। ইমরানের ইভেন্টের আগেই শুরু হয়েছিল হাই জাম্পার মাহফুজুর রহমানের ইভেন্ট। ইমরান চতুর্থ হয়ে হতাশ করলেও মাহফুজ যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়ে তেহরান থেকে আরেকটি পদক নিশ্চিত করেছেন।

ইরানের তেহরান থেকে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু বলেন, 'আমাদের মাহফুজ যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে। নিয়মানুযায়ী তৃতীয় স্থান অধিকারী দুই জনই পদক গ্রহণ করবেন।’ বাংলাদেশেও জাতীয় পর্যায়ে অনেক আসরে পদক ভাগাভাগি করতে দেখা যায়।

বাংলাদেশি হাই জাম্পার মাহফুজুর রহমান ও চীনের মা জিয়া ২.১৫ মিটার সমান উচ্চতায় লাফান। তাদের পূর্ববর্তী লাফগুলোও সমান অবস্থায় থাকা আয়োজকরা দুই জনকেই যুগ্মভাবে তৃতীয় ঘোষণা করেন। ২.২৩ মিটার উচ্চতায় লাফিয়ে এই ইভেন্টের স্বর্ণ জেতেন জাপানের রওচি।

বাংলাদেশি জাম্পার মাহফুজ ২.০৫ মিটার লাফিয়ে শুরু করেন। ক্রমান্বয়ে ০.০৫ মিটার করে উচ্চতা বাড়ে। মাহফুজ ২.১৫ পর্যন্ত সহজেই অতিক্রম করেন। ২.১৯ মিটার উচ্চতার সময় মাহফুজ ও চীনা জাম্পার তিন বার চেষ্টা করেও পারেননি। অন্য দুই জাম্পার এই উচ্চতা অতিক্রম করে পরবর্তী ধাপে উত্তীর্ণ হয়ে স্বর্ণের লড়াই করেন। আর মাহফুজ ও চীনা জাম্পারে উচ্চতা ও আগের লাফগুলো সমান সমান হওয়ায় ব্রোঞ্জ পদক ভাগাভাগি করেন। 

মাহফুজ বাংলাদেশের অন্যতম সেরা জাম্পার। ২০১৯ সালে কাঠমান্ডু এসএ গেমসে তার পদক রয়েছে। জাতীয় পর্যায়েও বেশ কয়েক বার সেরার কৃত্তিত্ব গড়েছেন।

এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিক্সে বাংলাদেশের পাচ জন অ্যাথলেট অংশগ্রহণ করেছেন। চার স্প্রিন্টারের মধ্যে জহির রায়হান রৌপ্য এবং একমাত্র জাম্পার মাহফুজার রহমান ব্রোঞ্জ জিতলেন। গত আসরে স্বর্ণ জেতা ইমরানুর রহমান এবার শূন্য হাতেই ফিরবেন। দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার ফাইনালে উঠতে পারেননি। 

এজেড/এইচজেএস