ঢাকা জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা থানা, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে অ্যাথলেটিক্স, হ্যান্ডবল, কাবডি ও ভলিবল প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে। ধানমন্ডির সুলতানা কামাল ক্রীড়া কমপ্লেক্সে আজ (শুক্রবার) প্রথমদিন ছিল অ্যাথলেটিক্স। 

সকালে ঢাকা মহানগর ও মহানগরের বাইরে চারটি উপজেলা থেকে কয়েকজন নারী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলের নারী শিক্ষার্থীও ছিলেন সেখানে। সকালে অনুষ্ঠিত নয়টি ইভেন্টে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারীদের নিয়ে ঢাকা জেলা অ্যাথলেটিক্স দল গঠিত হয়। বিকেলে সেই ঢাকা জেলা অ্যাথলেটিক্স দল ঢাকা বিভাগের অর্ন্তগত অন্য তিন জেলার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। এতে ঢাকা জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়। চ্যাম্পিয়ন দল ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ের অ্যাথলেটিক্সে খেলবে। 

সকালে ব্যক্তিগত পর্যায়ে খেলতে এসে দুপুরে গঠিত হওয়া দল বিকেলে জিতল শিরোপা। তাই প্রতিযোগিতার মান নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকা ফারহাদ জেসমিন লিটি বলেন, ‘আর্থিক সীমাবদ্ধতা ও নানা সংকটের জন্য এক দিনেই দু’টি বিষয় সম্পন্ন করতে বাধ্য হই।’

এরকম আয়োজন যেন অনেকটা করার জন্যই করা। এরপরও নাকি এখান থেকে মেধাবী অ্যাথলেট চোখে পড়েছে সাবেক অ্যাথলেট ও ঢাকা জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকা লিটির, ‘আজ অ্যাথলেটিক্সে একজন সম্ভাবনাময়ী জাম্পার পাওয়া গেছে। অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সেক্রেটারিকে তার ব্যাপারে বলেছি। পরিচর্যা পেলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করতে পারবে। স্বল্প পরিসরের আয়োজনে এরকম প্রতিভা পাওয়া যায়। এরকম না করলে সেটাও সম্ভব না।’

১৯৭২ সালে বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থা গঠিত হয়। মহিলা ক্রীড়া সংস্থার অধীনে প্রতিটি জেলা ও বিভাগে জেলা-বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থা রয়েছে। পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও জেলা-বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থাগুলো সংগঠন হিসেবে সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি। ফলে ক্রীড়াঙ্গনে সেই অর্থে ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে মত সংশ্লিষ্টদের।

এজেড/এএইচএস