দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত প্যারা অলিম্পিক কোটা টুর্নামেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন বাংলাদেশের কম্পাউন্ড আরচ্যার ঝুমা আক্তার। ব্রোঞ্জ জেতায় চলতি বছর প্যারা অলিম্পিকে খেলা নিশ্চিত করেছেন তিনি। সামার অলিম্পিকের এক মাস পর প্যারিসে অনুষ্ঠিত হবে প্যারা অলিম্পিক।

২০০৪ সাল থেকে বাংলাদেশ প্যারা অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করছে। ২০০৮ সালের পর কমিটি জটিলতার কারণে বাংলাদেশ গত কয়েকটি আসরে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। এবার আবার অংশগ্রহণ করবে। এই অলিম্পিকে বাংলাদেশের প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসেবে ঝুমা আক্তার নিজের যোগ্যতায় খেলবেন। যা আগের আসরগুলোতে ক্রীড়াবিদরা করতে পারেননি।

নিজ যোগ্যতায় অলিম্পিকে জায়গা করে নেয়া ঝুমা স্বপ্ন দেখছেন অলিম্পিকে পদকেরও। দুবাই থেকে আজ ভোরে বাংলাদেশে এসেছে প্যারা আরচ্যারি দল। ঝুমা অলিম্পিক স্বপ্নের কথা বললেন এভাবে, 'আমার আত্মবিশ্বাস ছিল অলিম্পিকে জায়গা করে নিতে পারব। এখন লক্ষ্য আগামী কয়েক মাস অনুশীলন করে অলিম্পিকে পদকের চেষ্টা করা।’

প্যারা আরচ্যারি এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহসান উল্লাহ সামনের কয়েক মাস ঝুমার প্রতি আরো গুরুত্ব দেয়ার কথা জানালেন, 'শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়েও ঝুমা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সুনাম অর্জন করেছে। অলিম্পিকের মঞ্চে তার পদক জয়ের জন্য আমরা সর্বত্মক সহযোগিতা করব।'

মূল অলিম্পিকের পাশাপাশি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য আরো দু’টি অলিম্পিক হয়। একটি স্পেশাল আরেকটি প্যারা অলিম্পিক। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীরা খেলে থাকেন স্পেশাল অলিম্পিক। প্যারা অলিম্পিক শারীরিক বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য। বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিকে অনেক পদক জিতলেও প্যারা অলিম্পিকে এখনো পদক পায়নি।

এজেড/এইচজেএস