রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে এ বছরের প্যারিস অলিম্পিকে রাশিয়ান অ্যাথলেটদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা এলেও, একই অভিযোগে ইসরায়েলকে কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হচ্ছে না। বরং এমন দাবিকে অযৌক্তিক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। 

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। নিহতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত প্রায় ৩১ হাজারের বেশি। ইসরায়েলি বাহিনীর এমন নৃশংসতার প্রতিবাদ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। যার প্রেক্ষিতে ইহুদি অধ্যুষিত এই রাষ্ট্রকে ক্রীড়াঙ্গন থেকেও নিষিদ্ধের দাবি তোলা হয়েছে। 

তবে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি জানিয়ে দিয়েছে, ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে ইসরায়েলকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। সংস্থাটির ভাষ্য, গাজায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার দ্বন্দ্ব এবং রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। যে কারণে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করা হলেও ইসরায়েলকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হচ্ছে না। 

আইওসির সমন্বয় কমিটির প্রধান পিয়েরে-অলিভিয়ের বেকার্স-ভিউজা নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে (ইসরায়েলের ওপর) নিষেধাজ্ঞার দাবি অগ্রহণযোগ্য। আইওসি রাশিয়াকে এবং রাশিয়ান অলিম্পিক কমিটিকে (আরওসি) যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটার কারণ খুবই স্পষ্ট। আগে রাশিয়া এবং সম্প্রতি আরওসি অলিম্পিক সনদের অপরিহার্য অংশগুলোর মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে।’

এরপরেই তিনি জানান, ‘ফিলিস্তিন অলিম্পিক কমিটি বা ইসরায়েল অলিম্পিক কমিটির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সে রকম নয়। তারা শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সহাবস্থানে আছে। তাই এটা একদম পরিষ্কার যে দুটি পরিস্থিতি ভিন্ন।’

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু হয়। যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষ নেয় বেলারুশ। এর প্রেক্ষিতে গত বছরের অক্টোবরে আরওসিকে নিষেধাজ্ঞা দেয় আইওসি। যদিও প্যারিস অলিম্পিকে রাশিয়ার ৮ এবং বেলারুশের ৩ জন অ্যাথলেট স্বতন্ত্র হিসেবে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন বলে মন্তব্য আইওসির। 

এর আগে আইওসি সভাপতি টমাস বাখও জানান ইসরায়েলকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না, বরং দেশটির অ্যাথলেটদের জন্য প্যারিস অলিম্পিকে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। সবাইকে সবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানান বাখ। 

জেএ