ভেতরে চলছে এজিএম। বাইরে সদস্যপদ না পাওয়া কোচদের একাংশ

সাবেক ফুটবলারদের সংগঠন সোনালী অতীত ক্লাব। সেখানেই আজ (রোববার) দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফুটবল কোচেস অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বর্তমান সভাপতি সত্যজিৎ দাশ রুপু ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান স্বপদে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। 

৪৪ জন ভোটারদের মধ্যে ৪০ জন উপস্থিত থেকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। সভাপতি পদে রুপুর ২৯ ভোটের বিপরীতে বায়েজিদ জোবায়ের আলম নিপু ১১ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আতিকুর রহমান পেয়েছেন ২৮ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী মুহিদর রহমান মিরাজ পান ১২ ভোট। কার্যনির্বাহী কমিটির বাকি ১৭ পদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। রুপু-আতিক প্যানেলের বাইরে প্রতিবাদ স্বরূপ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন নিপু ও মিরাজ।

সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য ফি প্রদানের রশিদ

ফিফা-এএফসির গাইডলাইন অনুযায়ী, ২০০৮ সালে কোচেস অ্যাসোসিয়েশনের জন্ম। ১৬ বছর বয়সী এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা মাত্র ৪৪। দেশে সক্রিয় ও এএফসি লাইসেন্সধারী কোচের সংখ্যা অনেক। সংগঠনটির সদস্য নন দেশের অনেক শীর্ষ ও সক্রিয় কোচই। তাদের একাংশ আজ সোনালী অতীত ক্লাব প্রাঙ্গনে জড়ো হয়ে সদস্যপদ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ভোটাভুটির আগে বার্ষিক সাধারণ সভাতেও সদস্য পদ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে অনেক। 

সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও বসুন্ধরা কিংসের নারী দলের সাবেক কোচ আবু ফয়সাল আহমেদ সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য ১০০০ টাকা ফি প্রদান করেছিলেন। এক যুগ আগের সেই রশিদ নিয়ে আজ হাজির হয়েছিলেন তিনি। ফয়সালের মতো আরও অনেকেই এরকম ফি প্রদান করেও সদস্যপদ পাননি। ফয়সাল ২০১২ সালে আবেদন করে এখনও সদস্য না হলেও, কয়েক বছর পর আবেদন করা একজন সংগঠনের সেক্রেটারিও হয়েছেন!

এজেড/এএইচএস