বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অলিম্পিক গেমসের আসর বসছে ফ্রান্সের প্যারিস শহরে। আগামী ২৬ জুলাই থেকে যার শুরু। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সাড়ে দশ হাজার ক্রীড়াবিদ অংশ নেবেন ৩২টি প্রতিযোগিতাপূর্ণ খেলায়। ১৬ দিনের এই জমকালো আসরে প্যারিস শহরে স্বেচ্ছাসেবক থাকবে ৩০ হাজারেরও বেশি। বাংলাদেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন ফ্রিল্যান্স গণমাধ্যমকর্মী ও স্পোর্টস এক্টিভিস্ট মোশারফ হোসাইন।

প্যারিস অলিম্পিকে মোশারফ হোসাইনের সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে ঢাকা পোস্টের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, তিনি ইতোমধ্যে অনলাইন প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। গেল বছরের ডিসেম্বরে কাজ করার প্রস্তাবনা পেয়েছেন অলিম্পিকের স্বেচ্ছাসেবক বিভাগ থেকে। তথ্যানুযায়ী, তিনি বারসি অ্যারেনায় ‘সাপোর্টিং অ্যাথলেট এন্ড পারফর্ম্যান্স’ বিভাগে কাজ করবেন।   

এর আগে মোশারফ হোসাইন ১৪, ১৫ ও ১৬তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশের প্রেস এন্ড মিডিয়া বিভাগের টিম লিডার (স্বেচ্ছাসেবক) হিসেবেও কাজ করেছেন। করোনাকালীন সময়ে স্বেচ্ছাসেবী কাজের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন থেকে হিডেন হিরো স্বীকৃতি ও পুরস্কার পান এই তরুণ, ‘মোশারফ হেল্পস দ্য স্নেক চারমার কমিউনিটি’ শিরোনামে যৌথভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও দ্য ডেইলি স্টার। এছাড়া দেশে বিভিন্ন প্রীতি ক্রিকেট ও ফুটবল ম্যাচে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন। ২০২২ সালে অর্জন করেন ১৭তম ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস। 

জানা গেছে, প্যারিস অলিম্পিকের স্বেচ্ছাসেবক প্ল্যাটফর্মটি ২০২৩ সালের মার্চ মাসে জনসাধারণের জন্য আবেদন উন্মুক্ত করে। ৩ মে নিবন্ধন শেষ হওয়ার পর, প্যারিস আয়োজক কমিটির কাছে তিন লক্ষাধিক আবেদন জমা হয়, যা আগের দুটি অলিম্পিকের জন্য আবেদনকারীর সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্য থেকে মূল্যায়নের ভিত্তিতে নির্বাচিত করা হয় ৩০ হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক।  

মোশারফ হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেছেন, এর আগে আমি কাতার ফুটবল বিশ্বকাপে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজের সুযোগ পেয়েছিলাম। একাডেমিক পরীক্ষা থাকায় যেতে পারিনি। প্যারিস অলিম্পিক চলাকালে কোনো পরীক্ষা নেই, স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারব। সেখানে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারব এবং নতুন অভিজ্ঞতা নিতে পারব সেখান থেকে। 

এই তরুণ আরও বলেন, সবচেয়ে বড় জটিলতা হলো প্যারিস অলিম্পিক থেকে জানানো হয়েছে তারা সেখানে থাকার ব্যবস্থা করতে পারবে না, এমনকি প্যারিসে যাওয়া-আসাও করতে হবে নিজের টাকাতেই। সেখানে যাওয়া ও থাকা আমার জন্য ব্যয়বহুল। যদি কোনো স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে অথবা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন আমার দিকে দৃষ্টি দেয় তাহলেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া আসরে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করার সুযোগ পাব।