আছে স্বীকৃতি, নেই তদারকি-মূল্যায়ন
ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই শুনেনি ‘জুজুৎসু’ নাম। সেই নামটি এখন ক্রীড়াঙ্গনে সবার মুখে মুখে। এই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটনের উপর নারী নির্যাতন, গর্ভপাত-ধর্ষণের ব্যাপক অভিযোগ নারী খেলোয়াড়দের। জুজুৎসু এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গতকাল গ্রেপ্তার হয়েছেন।
জুজুৎসু- আসলে কি ?
আত্মরক্ষা কৌশল হিসেবে কারাতে সারা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয় খেলা। কারাতে, জুডো, তায়কোয়ান্দো অলিম্পিকে পদকের লড়াই হয়। এই তিন খেলার বাইরে প্রায় কাছাকাছি আরো কয়েকটি খেলা বাংলাদেশে স্ব স্ব সংস্থা গড়ে উঠেছে। তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের পাশাপাশি রয়েছে আবার আন্তর্জাতিক তায়কোয়ান্দো অ্যাসোসিয়েশন। কারাতে, জুডো ফেডারেশনের সঙ্গে রয়েছে মার্শাল আর্ট কনফেডারেশনও। কারাতে জাতীয় খেলাই জুজুৎসু। এটি মূলত জাপানিজ কারাতে। সামান্য ভিন্নতা এনে নামকরণ হয়েছে জুজুৎসু।
বিজ্ঞাপন
২০১৮ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে স্বীকৃতি পাওয়া এই অ্যাসোসিয়েশনের আলাদা কোনো অফিস ও অনুশীলন ভেন্যু নেই। আন্তর্জাতিক আমন্ত্রণপত্র এনে এরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে আবেদন করে বিদেশ সফর করছে। বিদেশ থেকে পদকও এনেছে। যদিও এই জাতীয় খেলায় পদক নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে সন্দেহ রয়েছে অনেক। বিদেশের মাটিতে দেশের হয়ে অংশগ্রহণ ও পদক আনার পেছনে নানা রহস্য রয়েছে বলে ধারণা ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট অনেকেরই।
অ্যাসোসিয়েশনের স্বীকৃতি হয় কিভাবে?
বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে স্বাধীন হয়। স্বাধীনতার পরপরই ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, টেবিল টেনিসসহ আরো কয়েকটি ফেডারেশনের জন্ম। কিছুদিন পর ১৯৭৪ সালে দাবা ফেডারেশনের সৃষ্টি। একবিংশ শতাব্দীর পর থেকে মূলত ফেডারেশন-অ্যাসোসিয়েশনের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। যা এখন অর্ধশতাধিকের বেশি।
বিজ্ঞাপন
কোনো খেলা জাতীয় হিসেবে স্বীকৃতি পেতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুমোদন পেতে হবে। আগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ফেডারেশন-অ্যাসেসিয়েশনের কোনো নীতিমালাই ছিল না। রাজনৈতিক প্রভাব ও নানাভাবে ফেডারেশন-অ্যাসোসিয়েশনের জন্ম হওয়ার অভিযোগ আছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাবেক দুই নির্বাহী সদস্য বাদল রায় ও দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুলের উদ্যোগে একটি ফেডারেশন-অ্যাসোসিয়েশন নীতিমালা হয়েছিল প্রায় বছর দশেক আগে।
সেই নীতিমালায় অ্যাসোসিয়েশনের স্বীকৃতি পেতে আবেদনকারী সংস্থা/প্রতিষ্ঠানকে কমপক্ষে ১৫টি জেলা- নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্লাবের অংশগ্রহণে ৩ বছর খেলা আয়োজন ও খেলার কার্যক্রম পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। উক্ত সংস্থা পরিচালনার জন্য নিজস্ব গঠনতন্ত্র, সাধারণ পরিষদ, নিজস্ব অফিস-ঠিকানা, প্রয়োজনীয় লোকবল, নির্দিষ্ট খেলার স্থান/স্থাপনা খেলার ধারণা চিত্র, আর্থিক সক্ষমতা ইত্যাদি থাকতে হবে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অ্যাফিলিয়েশন কমিটির সুপারিশ নির্বাহী কমিটিতে উঠে। নির্বাহী কমিটির পরবর্তী এসোসিয়েশনকে স্বীকৃতি/বাতিল প্রদান করে। নির্দিষ্ট খেলাকে নীতিমালা অনুযায়ী ক্রীড়া অ্যাসোসিয়েশনের স্বীকৃতির পর পরবর্তী চার বছর কমপক্ষে ১৫ টি জেলা ও নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্লাবের অংশগ্রহণে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ এবং অন্তত একটি বয়স ভিত্তিক (অ১২-১৮) প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে।
স্বীকৃতির পর নেই মূল্যায়ন
বাংলাদেশের ক্রীড়া কাঠামোতে সর্বোচ্চ স্বীকৃতি ফেডারেশন। ফেডারেশনের আগের ধাপ অ্যাসোসিয়েশন। নতুন কোনো খেলা বা সংস্থা সরাসরি ফেডারেশন হতে পারবে না। অ্যাসোসিয়েশন থেকে ফেডারেশনে উন্নীত হতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ফেন্সিং অ্যাসোসিয়েশন ফেডারেশনে উন্নতি করেছে। প্রয়াত বাদল রায় ও সাবেক তারকা ফুটবলার ও বিশিষ্ট সংগঠক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে থাকতে ক্রীড়া ফেডারেশন-অ্যাসোসিয়েশন নীতিমালা করেছিলেন। সেই নীতিমালায় ফেডারেশনগুলো সি-এ ক্যাটাগরি এবং এসোসিয়েশন থেকে ফেডারেশনে নানা ধাপ ও শর্ত ছিল।
অ্যাসোসিয়েশন হওয়ার পর আর সেই মূল্যায়ন হয় না এমনটাই বললেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাবেক নির্বাহী সদস্য দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল, ‘আমরা একটি নীতিমালা করেছিলাম। সেই নীতিমালায় সুস্পষ্ট ধারা রয়েছে চার বছর পর মূল্যায়ন হবে এসোসিয়েশন/ফেডারেশনের। সেই মূল্যায়নে অ্যাসোসিয়েশন বাতিল/স্থগিত করার সুপারিশ করারও ব্যবস্থা। নীতিমালায় মূল্যায়ন থাকলেও এর কোনো প্রয়োগ নেই।’
জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশন ২০১৮ সালে গঠিত। সেই হিসেবে ইতোমধ্যে ছয় বছর অতিবাহিত হয়েছে। রফিকুল ইসলাম নিউটন সাধারণ সম্পাদক ও গোলাম খন্দকার প্রিন্স সভাপতি হিসেবে রয়েছেন শুরু থেকেই। ছয় বছরে কমিটির সভা ও অন্যান্য কার্যক্রম সম্পর্কে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সেভাবে ওয়াকিবহাল নয়।
ইউরোপ-আমেরিকা সফর জুজুৎসুর
২০১৮ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের স্বীকৃতির কয়েক মাস পর থেকেই বিদেশ সফর শুরু করে বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশন। ভারত, মঙ্গোলিয়া, গ্রিস,আবুধাবি, থাইল্যান্ড, ফ্রান্স, আমেরিকা সফরের জন্য সরকারি আদেশ পেয়েছে এই অ্যাসোসিশেয়নটি। তন্মেধ্যে গ্রিসে একাধিকবারের জিও এসেছে। অনেক সরকারি আদেশে (জিও) দল প্রধান হিসেবে আছেন সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটন। আবার কিছু সরকারি আদেশে দল প্রধান হিসেবে রয়েছেন গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স। যিনি এই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও পাবনার সংসদ সদস্য।
পুরনো ও অনেক বড় ফেডারেশনের ইউরোপ, আমেরিকা সফর অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। নিজস্ব অফিস, সাফল্য ও খেলার পরিচিতি থাকলেও অনেক ফেডারেশন উন্নত দেশে অনেক সময় খেলোয়াড় পাঠাতে হিমশিম খায় সেখানে জুজুৎসু আমেরিকা ও ইউরোপে একাধিক সফর নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার ও সভাপতি দেশের বাইরে থাকায় বিদেশ সফরের অর্থ সংস্থার সম্পর্কে কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি।
অ্যাসোসিশেয়নের স্বীকৃতি পাওয়ায় জুজুৎসু এসোসিয়েশন বছরে ৫৮ হাজার টাকা অনুদান পায়। এছাড়া গত অর্থ বছরে আন্তর্জাতিক খেলাধূলায় অংশগ্রহণের জন্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা অনুদান পেয়েছিল বলে জানা গেছে এনএসসি সূত্রে।
সরকারি নিয়মানুযায়ী সফর শেষে সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন/ফেডারেশনকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে রিপোর্ট জমা দিতে হয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্য ফেডারেশন এই প্রতিবেদন বিলম্ব আবার অনেক সময় না দিলেও জুজুৎসু প্রতিবারই নিয়মমাফিক এই প্রতিবেদন দাখিল করেছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এসোসিয়েশন/ফেডারেশনের প্রতিবেদনের উপরই নির্ভরশীল। কোনো ক্রীড়াবিদ/সংগঠক দেশে ফিরে না আসলেও প্রতিবেদনে থাকলে তারা সেটা তদন্ত বা খতিয়ে দেখেন না সেভাবে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে সাধারণ সম্পাদকের উপর অভিযোগ এনে চিঠি দেয়া এক খেলোয়াড়ের নাম ইউরোপ ও আমেরিকা সফরের জিওতে রয়েছে। সেই খেলোয়াড় সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ হয়ে গত কয়েক বছর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে এসোসিয়েশনের চিঠি আদান-প্রদান করেছেন। খেলোয়াড় হয়েও তিনি কর্মকর্তার মতো কাজ করতেন। সাধারণ সম্পাদকের আস্থাভাজন সেই খেলোয়াড়ই এখন ভুক্তভোগী হয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে অভিযোগ এনেছেন।
মহিলা ক্রীড়া সংস্থায় নেই কোনো অভিযোগ
লিঙ্গের ভিত্তিতে ক্রীড়া সংস্থা বিশ্বের অনেক দেশেই নেই। বাংলাদেশে অবশ্য স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মেয়েদের আলাদা অনুশীলন ব্যবস্থা ও নানা পারিপার্শ্বিকতায় বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার জন্ম। নারী ক্রীড়াবিদদের অধিকার আদায়ে ও বঞ্চনার বিপক্ষে এই সংস্থাটি তেমন বড় ভূমিকা রাখতে সেভাবে দেখা যায় না। মহিলা ক্রীড়া সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদিকা ফিরোজা করিম নেইলী বলেন, ‘জুজুৎসুর ব্যাপারে কোনো মেয়ে আমাদের কোনো চিঠি বা অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ না পেলে আমাদের পক্ষ থেকে কিছু করার থাকে না। অনেক সময় মৌখিকভাবেও আমাদের অনেকে জানায় তখন আমরা সংশ্লিষ্ট ফেডারেশন বা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করি বা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করি।’
আরও পড়ুন
মন্ত্রী পাপনের তড়িৎ উদ্যোগ
জুজুৎসু নারী ক্রীড়াবিদদের নিপীড়নের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রথমে আসে। অজানা খেলাটি নেতিবাচক শিরোনামে আসার পর দৃষ্টি আকর্ষণ হয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। ভুক্তভোগী খেলোয়াড়রা আনুষ্ঠানিক অভিযোগও করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে। যুব ও ক্রীড়া নাজমুল হাসান পাপন দ্রæত তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন। কমিটি ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী দুই খেলোয়াড়ের সাক্ষ্যও নিয়েছে। আজ রোববার অভিযুক্ত নিউটন ও তার সহযোগির সাক্ষ্য নেয়ার সূচি ছিল। তারা র্যাব কর্তৃক গ্রেপ্তার হওয়ায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তদন্ত কমিটি সাক্ষ্য নিতে পারেনি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব কবিরুল হাসান তদন্ত নিয়ে বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অধীনে রয়েছেন। তাই এখন আমরা অন্যদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তের কাজ এগিয়ে রাখব এরপর কর্তৃপক্ষের আমাদের কত পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’
প্রকৃত তদন্ত ও দৃষ্টান্ত শাস্তির আবেদন ক্রীড়াবিদদের
ক্রীড়াঙ্গনে মাঝে মধ্যেই নিপীড়ন-নির্যাতনের অভিযোগ উঠে। কখনো সময়ের ব্যবধানে সেই অভিযোগ বিলীন হয় আবার কখনো দুই পক্ষের মধ্যে ধামাচাপা পড়ে। এবার এই ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিদাবি স্বর্ণজয়ী ভারত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্তর, ‘বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখে তদন্ত হওয়া দরকার। তদন্তের পর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে নজীর স্থাপন করা উচিত যেন কেউ ভবিষ্যতে এমন কেউ না করতে পারে।’
বাংলাদেশ অ্যাথলেট কমিশনে রয়েছেন স্বর্ণজয়ী ক্রীড়াবিদ সাতারু মাহফুজা খাতুন শিলা, শুটার শাকিল আহমেদ। তারাও এই বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। না হলে বর্তমানে অন্য খেলার নারী ক্রীড়াবিদরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন এবং ভবিষ্যতে ক্রীড়াঙ্গনে নারীদের অংশগ্রহণও কমতে পারে।
সংগঠকদের কাঠগড়ায় এনএসসি
ফেডারেশন-অ্যাসোসিয়েশন মিলিয়ে সংখ্যা পঞ্চাশ উর্ধ্ব। এর মধ্যে প্রায় দশটি নামসর্বস্ব। সেই তালিকায় বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশন অন্যতম। নারী জুজুৎসু খেলোয়াড়দের অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটনের উপর নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে। নারী খেলোয়াড়দের অভিযোগ আমলে র্যাব নিউটনকে গ্রেপ্তার করেছে। একটি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নারীঘটিত কারণে গ্রেপ্তার এ নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
আশিকুর রহমান মিকু নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক প্রায় তিন যুগ। বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের মহাসচিব। তৃণমূলের পর্যায়ে অভিজ্ঞ এই সংগঠক জুজুৎসু এসোসিয়েশন সম্পর্কে বলেন,‘ এমন একটি নাম আমরা অনেকে সঠিকভাবে উচ্চারণও করতে পারি না। এই খেলা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই। অ্যাসোসিয়েশন প্রদানের ক্ষেত্রে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আরো সতর্ক থাকা উচিত এবং সংগঠকদের ব্যাকগ্রাউন্ডও পুঙ্খানুপুঙ্খ দেখা উচিত। কোনো প্রভাবে বা উদ্দেশ্যে অ্যাসোসিয়েশন স্বীকৃতি দেয়া উচিত নয়। ’
আসাদুজ্জামান কোহিনূর বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রায় তিন দশক। ফেডারেশন সেক্রেটারিদের সংগঠন জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনের ফোরামের সভাপতিও তিনি। জুজুৎসু এসোসিয়েশনের ঘটনায় কোহিনূরের প্রতিক্রিয়া, ‘ক্রীড়াঙ্গনে আমাদের কোনো সংগঠকের সঙ্গে তার সেভাবে পরিচয় ও সখ্যতা নেই। আমাদের কোনো কর্মকান্ডে তার এবং তার এসোসিয়েশনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। একটি এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি এ রকম কাজ করছে এটা খুবই নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বিষয়গুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। পাশাপাশি এ রকম নামসর্বস্ব ও অপ্রচলিত খেলাগুলোর ব্যাপারে আরো নজরদারি করা উচিত।’
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ফুটবলার ও সংগঠক আব্দুল গাফফার আরেকটি বিষয় গুরুত্বারোপ করেছেন, ‘এই খেলাটি কোনো অনুশীলন ভেন্যু নেই। বাসাতেই নাকি অনুশীলন চলত। একজনের বাসায় কোনো অনুশীলন হতে পারে না। এটা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোনো স্থাপনা বা প্রতিষ্ঠানে অনুশীলন হতে। যাতে নজরদারি বা কর্তৃত্ব জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের থাকে।’
এজেড/জেএ