প্যারিস ও টোকিওর প্রস্তুতিতে লুজান মিশনে রোমানরা
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এসএ গেমসের পর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নেই বাংলাদেশের আরচ্যাররা। এক বছরের বেশি সময় পর আন্তর্জাতিক আরচ্যারিতে ফিরছেন রোমান সানারা। সুইজারল্যান্ডের লুজানে আরচ্যারি বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন তারা। ২২ জুন প্যারিসে আরেকটি বিশ্বকাপ ও অলিম্পিক বাছাই রয়েছে। সেই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির জন্যই মূলত এই চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের জার্মান কোচ ফ্রেডরিক মার্টিন বলেন, ‘প্যারিস থেকে আরেকটি অলিম্পিক কোটা প্লেসের সুযোগ রয়েছে। অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিষয় এরপরও আমরা চেষ্টা করব ও আশা করছি। প্যারিস চ্যাম্পিয়নশিপের আগে আমরা সুইজারল্যান্ড থেকে আরচ্যারদের প্রস্তুত করতে চাই।’
বিজ্ঞাপন
টোকিও অলিম্পিক নিশ্চিত করেছেন আরচ্যার রোমান সানা। রিকার্ভ এককে খেলবেন তিনি। আসন্ন প্যারিস বিশ্বকাপ বাছাইয়ে রিকার্ভ পুরুষ দলগত, মহিলা দলগত ও মহিলা ব্যক্তিগত ইভেন্টে কোটা প্লেসের সুযোগ আছে। তাত্ত্বিকভাবে তিন ইভেন্টে বাংলাদেশের সুযোগ থাকলেও জার্মান কোচ বাস্তবিকভাবে দুই ইভেন্টের জন্য চেষ্টা করবেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো মহিলা দলগত ইভেন্টে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করব।’
প্যারিসে কোটা প্লেস নিশ্চিত না হলেও ওয়াইল্ড কার্ডেও খেলার সুযোগ থাকবে মহিলা ব্যক্তিগত ইভেন্টে। মহিলা ইভেন্টে কেউ ওয়াইল্ড কার্ড পেলে রোমান সানার সঙ্গে মিশ্র ইভেন্টেও অংশ নিতে পারবেন। ফলে তখন আরচ্যারিতে বাংলাদেশের আরেকটি ইভেন্ট বাড়বে।
বিজ্ঞাপন
রোমান সানা বাংলাদেশ গেমস এবং জাতীয় আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপে আশানুরূপ ফল না করতে পারলেও কোচের বাজি রোমানকে ঘিরেই, ‘সে বাংলাদেশের সেরা আরচ্যার। চ্যাম্পিয়নশীপে প্রথম না হলেও তার পয়েন্ট অনেক ভালো ছিল।’ অলিম্পিকে সব প্রতিযোগিতা রিকার্ভ ভিত্তিক। এরপরও সুইজারল্যান্ডে বিশ্ব আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপে কম্পাউন্ড আরচ্যার অসীম কুমার দাসকে নিয়েছে ফেডারেশন। এই প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল বলেন, ‘সে বাংলাদেশ গেমসে ৭০৪ স্কোর গড়েছে। এই ইভেন্টে বিশ্বরেকর্ড ৭১৮। সে একদিন বিশ্বরেকর্ড গড়বে বলে আমাদের বিশ্বাস। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য তাকেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নিয়েছি।’
সুইজারল্যান্ডে অলিম্পিক কোটা প্লেস নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ না থাকলেও কোচ ও ফেডারেশন কর্তাদের প্রত্যাশা আরচ্যারদের নিজ নিজ সেরা স্কোরকে অতিক্রম করা।
ফেডারেশনের সভাপতি লে. জেনারেল (অব:) মইনুল ইসলাম বলেন, ‘সিটি গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই। তাদের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য আমরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে। এই চ্যাম্পিয়নশিপের মাধ্যমে আরচ্যাররা নিজেদের আরো উন্নতি করার সুযোগ পাবে।’ বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রুবাইয়াৎ আহমেদ।
সুইজারল্যান্ডগামী আরচ্যারি কন্টিনজেন্ট
ডেলিগেশন অফিসিয়াল : কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল।
হেড কোচ : ফ্রেডরিক মার্টিন (জার্মা...
কোচ : জিয়াউল হক।
পুরুষ আরচ্যার : রাম কৃষ্ণ সাহা, রোমান সানা, হাকিম আহমেদ রুবেল, তামিমুল ইসলাম, অসীম কুমার দাস (কম্পাউন্ড )।
মহিলা আরচ্যার: বিউটি রায়, দিয়া সিদ্দিকী, মেহনাজ আক্তার মনিরা।
এজেড/এটি/টিআইএস