বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে এখন আলোচিত নাম লন্ডন প্রবাসী সাঁতারু জুনাইনা আহমেদ। মাত্র ১৭ বছর বয়সে বাংলাদেশের হয়ে টোকিও অলিম্পিকে লড়বেন তিনি। লন্ডনে বেড়ে উঠা জুনাইনা এবার ঈদটি ভিন্ন রকম হওয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষার কারণে হচ্ছে না। জুনাইনার বাবা জুবায়ের আহমেদ বলেন, ‘জুনাইনা অলিম্পিকে অংশ নেয়ার খবরে লন্ডনের বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে দারুণ উদ্দীপনা। সবাই তাকে দেখতে চায়। ঈদের মধ্যে হয়তো একটা ছোটখাটো গেট টু গেদার হতো কিন্তু ওর পরীক্ষার জন্য মনে হয় সম্ভব না।’ ঈদের দিন জুনাইনার এ লেভেল পরীক্ষা চলছে। ঈদের দিন দুইটি পরীক্ষা দিতে হচ্ছে তাকে। 

লন্ডনে বেড়ে উঠায় ঈদের দিন পরীক্ষাকে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন জুনাইনা, ‘আসলে ইংল্যান্ডে ঈদের দিনটি অন্য দিনগুলোর মতোই। আমরা বাংলাদেশি ও মুসলিম কমিউনিটি দিনের কাজ শেষে বিশেষ দিনটি একসাথে পালন করার চেষ্টা করি। এবার আমার পরীক্ষা পড়ে গেছে। তাই পরীক্ষা নিয়েই বেশি মনোযোগ আমার।’ সাঁতারু হলেও পড়াশোনাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেন জুনাইনা, ‘খেলার পাশাপাশি পড়াশোনাও গুরুত্বপূর্ণ। পড়াশোনা ছাড়া উন্নত ও পরিপূর্ণ মানুষ হওয়া সম্ভব নয়। এ লেভেল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আমি অলিম্পিকের জন্য নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত করতে নামব।’ 

ঈদের আগে এখন পড়াশোনার পাশাপাশি রোজা পালন ও ইবাদত করেই সময় কাটছে জুনাইনার। আগের ঈদগুলো পরিবারের পাশাপাশি লন্ডনে সমবয়সী বাংলাদেশিদের সঙ্গে কেটেছিল জুনাইনার। এবার তার অলিম্পিকের খবর শুনে সতীর্থরা বেশ খুশি। তাদের অনেকেরই পরীক্ষা থাকায় এবার ঈদটা খুব বেশি আনন্দ উদযাপনের সুযোগ কম। 
 
এ লেভেলে ভালো ফলাফলে পাশাপাশি আসন্ন অলিম্পিকেও ভালো টাইমিং করতে চান জুনাইনা, ‘অলিম্পিকে নিজের সেরা টাইমিংকে অতিক্রম করতে চাই। এ লেভেলের পর দুই মাস সময় থাকবে। ওই সময় পুরোটা সাঁতার নিয়েই থাকব।’ 

এজেড/এটি