দেশসেরা গলফার সিদ্দিকুর রহমান আসন্ন টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছেন। চলমান করোনা মহামারির জন্য এশিয়ান ট্যুর ও অন্য অনেক গলফ প্রতিযোগিতা স্থগিত। ওই প্রতিযোগিতাগুলোতে অংশ নিয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করে টোকিও অলিম্পিকে খেলার সম্ভাবনা ছিল সিদ্দিকুরের। করোনা মহামারি সেটা হতে দেয়নি।

বর্তমান পরিস্থিতিতে আর অলিম্পিকে খেলার সুযোগ দেখছেন না সিদ্দিক, ‘এবার আর অলিম্পিক খেলা হচ্ছে না। ফেব্রুয়ারি থেকে এশিয়ান ট্যুর স্থগিত। করোনার জন্য বাইরে খেলতে যেতে পারছি না। কিছু টুর্নামেন্ট খেললে আবারও অলিম্পিকে খেলার সুযোগ থাকত।’ 

রিও’র পর টোকিও অলিম্পিকে খেলার সম্ভাবনা ছিল সিদ্দিকুরের। করোনার জন্য সেই সম্ভাবনা আর বাস্তবে রূপ নিচ্ছে না। টোকিও অলিম্পিক খেলা হবে না এ নিয়ে অবশ্য কোনো আক্ষেপও নেই দেশ সেরা এই গলফারের, ‘অলিম্পিকে তো একবার খেলেছি। তাছাড়া এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। করোনার এই সময়ে অলিম্পিকে খেলার সুযোগ না পাওয়ার জন্য তাই মন খারাপের কারণ নেই। স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছি।’ 

২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে গলফার সিদ্দিক নিজ যোগ্যতায় সরাসরি খেলেছিলেন। র‌্যাঙ্কিংয়ে ৬০ এর মধ্যে থাকায় তিনি ব্রাজিল অলিম্পিকে প্রথম বাংলাদেশি অ্যাথলেট হিসেবে সরাসরি খেলার কৃতিত্ব দেখান। সিদ্দিকুরের পর এবার সেই কৃতিত্ব গড়ছেন আরচ্যার রোমান সানা। 

অলিম্পিকে বাংলাদেশ ওয়াইল্ড কার্ড নিয়েই অংশগ্রহণ করে আসছে আশির দশক থেকে। অ্যাথলেটিক্স, সুইমিং, অন্যান্য সব ডিসিপ্লিনে ওয়াইল্ড কার্ড দিয়েই অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা। গলফে ওয়াইল্ড কার্ডের সুযোগ নেই বলে জানান সিদ্দিক, ‘আমি যতটুকু জানি অলিম্পিক গলফ ডিসিপ্লিনে নিজ যোগ্যতাই খেলতে হয়। গলফে ওয়াইল্ড কার্ড সাধারণত দেওয়া হয় না বলে জানি।’ 

অলিম্পিকে পুনরায় খেলা না হলেও নিজের অনুশীলন চালিয়ে যেতে চান সিদ্দিক। যুক্তরাষ্ট্রে উন্নত ট্রেনিংয়ের জন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক 
অ্যাসোসিয়েশনের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়ে একটি আবেদন করেছিলেন সিদ্দিকুর রহমান। কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও সেই আবেদনের এখনো কোনো সাড়া পেলেও আশা ছাড়ছেন না সিদ্দিক।

তিনি বলেন, ‘অলিম্পিক থেকে সাহায্য পেলে বাইরে ট্রেনিংয়ের পরিকল্পনাটি এখনো রয়েছে। আশা করি তারা বিষয়টি দেখবে’। সিদ্দিক নিজেই বাংলাদেশ অ্যাথলেট কমিশনের সদস্য। তার অ্যাথলেট কমিশনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা অ্যাথলেট কমিশন দেশের অন্য ডিসিপ্লিনের ক্রীড়াবিদদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা করি। করোনার জন্য আমাদের সভাও হচ্ছে না।’ 

এজেড/এমএইচ