টোকিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণে বাংলাদেশের অ্যাথলেট ও অংশগ্রহণকারীদের জন্য ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক। জাপান থেকে এমন নির্দেশনা পাওয়ার পর বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন বরাদ্দ করেছে। 

এই নিশ্চয়তার পরেও অনকেটা দুশ্চিন্তায় ছিল বিওএ। টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশের অন্যতম ডিসিপ্লিন সাঁতার। নারী সাতারু জুনাইনার বয়স ১৮র নিচে। এত কম বয়সে ভ্যাকসিন নেওয়া এখনো সেভাবে শুরু হয়নি। সেই শঙ্কা ইতোমধ্যে কেটে গেছে। গত পরশু দিন জুনাইনা আহমেদ লন্ডনে ভ্যাকসিন নিয়েছেন। 

জুনাইনার বাবা জুবায়ের আহমেদ বলেন, ‘সম্প্রতি ইংল্যান্ড সরকার ১২-১৫ বছরের বাচ্চাদেরও ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। জুনাইনা প্রায় ১৮র কাছাকাছি। অলিম্পিক অ্যাসোসিশেয়নের নির্দেশনায় আমরা জুনাইনাকে ভ্যাকসিন দিয়েছি।’ প্রথম ডোজ দিলেও দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে খানিকটা চিন্তায় রয়েছেন তার বাবা, ‘দ্বিতীয় ডোজের রেজিস্ট্রেশন আমরা এখনো করতে পারেনি। তবে ইংল্যান্ডে কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছে ভ্যাকসিন দেবে।’ জুনাইনা ফাইজারের ডোজ দিয়েছেন। 

বাংলাদেশের আরেক সাতারু আরিফুল ইসলাম থাকেন ফ্রান্সের প্যারিসে। তিনিও ওখানেই ভ্যাকসিন দেবেন। তার বয়স ২০ পেরিয়েছে। আরিফ অবশ্য জনসনের ভ্যাকসিন দেবেন। প্যারিস থেকে তিনি বলেন, ‘১১ জুন সকালে আমার ভ্যাকসিন দেওয়ার সময়। জনসনের এক ডোজ দিলেই হবে।’ অ্যাস্ট্রোজেনিকা, ফাইজারের চেয়ে জনসনের প্রচলন একটু কম। তবে এ নিয়ে ঘাবড়াচ্ছেন না আরিফ, ‘জনসন এখানে অনেকে দিচ্ছেন। তেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।’ 

জাপান থেকে নির্দেশনায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেটদের ভ্যাকসিন দেওয়া বাধ্যতামূলক করলেও এই দুই সাতারু থাকেন ইউরোপে। তারা ইউরোপ থেকেই টোকিও যাবেন। তারা ইউরোপ থাকেন এবং একজনের বয়স ১৮র নিচে। এরপরও বিওএ কোনো ঝুকি নিতে চাননি, ‘আমরা জাপানের গাইডলাইন মেনেই অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করব। তাই সকলকে ভ্যাকসিনের ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’ বলেন অলিম্পিকের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব) ফখরুদ্দিন হায়দার। 

অলিম্পিকে ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়া শ্যুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকীর ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। আরচ্যার রোমান সানা, অ্যাথলেট জহির রায়হানও ভ্যাকসিনের আওতায় আসবেন শীঘ্রই। এখনো বাংলাদেশের দুইটি ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই ওয়াইল্ড কার্ডের নিশ্চয়তা পেতে এই মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত লাগতে পারে। সম্ভাব্য ওয়াইল্ড কার্ডধারীদেরও ভ্যাকসিনের আওতায় রাখছে বিওএ। যাতে অলিম্পিকে কার্ড পেলেও ভ্যাকসিনের জন্য যেন অলিম্পিক মিস না হয়। 

এজেড/এমএইচ