সবার খেলা শেষ। গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব লড়ে যাচ্ছিলেন শ্রীলঙ্কান ক্যান্ডিডেট মাস্টার লিয়ানানজে দিলশানের সঙ্গে। আরেক গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান পরিবার নিয়ে পায়চারি করছেন। রাজীব জিতে গেলে জিয়ার পরিবর্তে রাজীবই খেলতেন বিশ্বকাপ দাবায়। শেষ পর্যন্ত রাজীব আর জিততে পারেননি। হাসি ফুটে জিয়ার মুখে। নয় রাউন্ড শেষে আট পয়েন্ট নিয়ে জিয়া এশিয়ান জোনাল চ্যাম্পিয়ন হয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলবেন। রাজীব সাড়ে সাত পয়েন্ট নিয়ে রানার আপ। 

পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার পর জিয়ার প্রতিক্রিয়া, ‘কিছুটা উৎকন্ঠায় ছিলাম। রাজীব জিতে গেলে সে খেলত বিশ্বকাপ। তাতে আমার অতৃপ্তি থাকতো না। আমি চার বার খেলেছি।’ জিয়া বিগত রাউন্ডগুলোতে লীডে ছিলেন। আজ (বুধবার) জিতলে আর শেষ পর্যন্ত উৎকন্ঠায় থাকতে হতো না। ক্যান্ডিডেট মাস্টার মনন রেজা নীড়ের সঙ্গে জিয়া সহজেই জিতবেন এমনটাই অনুমেয় ছিল। শেষ পর্যন্ত ক্যান্ডিডেট মাস্টারের সঙ্গে ড্র করেন গ্র্যান্ডমাস্টার। 

আজকের ড্র এবং রাজীবের সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার বলেন, ‘আমি ড্র করায় কিছুটা নাটকীয়তা তৈরি হয়। আমি কিছুটা সেফ খেলে ড্র করেছি। বেশি ঝুঁকি নেইনি। রাজীব কালো ঘুটি নিয়ে খেলছিল ফলে তার ড্রয়ের সম্ভাবনাই ছিল। তারপরও একটু মনের মধ্যে সংশয় ছিল।’

জোনাল চ্যাম্পিয়ন হিসেবে জিয়ার সম্ভাবনাই বেশি ছিল এই টুর্নামেন্টে। আজ শেষ রাউন্ডে ড্র করায় অন্তিম মুহূর্তে জেগে উঠে রাজীবের সম্ভাবনা। রাজীব শেষ রাউন্ডে শ্রীলঙ্কান ২২০০ রেটিং ধারী দাবাড়ুর সঙ্গে ড্র করা নিয়ে বলেন, ‘তার রেটিং আমার চেয়ে কম হলেও সে সাদা নিয়ে খেলেছে। সাদা নিয়ে খেলা প্রতিপক্ষ ভুল না করলে ম্যাচ জেতা কঠিন।’ দুই গ্র্যান্ডমাস্টারের লড়াইটি ড্র হয়েছিল। 

এ বছর বিশ্বকাপ দাবায় দুশোর বেশি দাবাড়ু অংশগ্রহণ করবেন। এজন্য বাংলাদেশ থেকে দুজন দাবাড়ু অংশ নিচ্ছেন। ১০০ এর মধ্যে ফিদে র‍্যাঙ্কিংয়ে থাকা দেশগুলো একজন করে দাবাড়ু বিশ্বকাপ নির্বাচিত করেছেন। ২০১৯ সালে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে নিয়াজ মোর্শেদ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় তিনি সরাসরি খেলবেন আসন্ন রাশিয়া বিশ্বকাপ। এশিয়ান জোনাল চ্যাম্পিয়ন হিসেবে জিয়া তার সঙ্গী হবেন। বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ দাবায় দুজন অংশ নিচ্ছেন। 

এজেড/টিআইএস