আসন্ন টোকিও অলিম্পিক ভারত্তোলনে টেকনিক্যাল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ভারত্তোলন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি উইং কমান্ডার ( অব.) মহিউদ্দিন আহমেদ। গত পরশু আন্তর্জাতিক ভারত্তোলন ফেডারেশন টোকিও অলিম্পিক টেকনিক্যাল অফিসিয়ালদের নাম প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় বাংলাদেশের এই কর্মকর্তার নাম রয়েছে।

সবকিছু ঠিক থাকলে এটি হবে মহিউদ্দিনের টানা নবম অলিম্পিকে অংশগ্রহণ। এই প্রসঙ্গে মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমাকে ট্যাকনিক্যাল অফিসিয়াল হিসেবে নিশ্চিত করেছে। বর্তমান পৃথিবীর যে পরিস্থিতি টোকিও পৌছানোর আগ পর্যন্ত তো খানিকটা অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। ১৯৮৮ সালের অলিম্পিক থেকে আমার অংশগ্রহণ শুরু হয়েছে। কখনো টিম ম্যানেজার, কখনো অতিথি আবার কখনো ট্যাকনিক্যাল অফিসিয়াল হিসেবে আমার সম্পৃক্ততা ছিল অলিম্পিকে।’ 

বাংলাদেশের অন্য কোনো ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসরে টানা নয় বারের অংশগ্রহণের রেকর্ড নেই। গত দুই বার মহিউদ্দিন ভারত্তোলনে ট্যাকনিক্যাল অফিসিয়াল হিসেবে অলিম্পিকে গিয়েছিলেন। ২০১০ যুব অলিম্পিকে বাংলাদেশের শেফ দ্য মিশনও ছিলেন বর্ষীয়ান এই কর্মকর্তা। 

অলিম্পিকে বাংলাদেশের ভারত্তোলকরা অংশগ্রহণ করেননি এখনো। টানা দুই এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী ভারত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্তর এখনো টোকিও অলিম্পিকের ওয়াইল্ড কার্ডের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। মাবিয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে ফেডারেশনের সহ-সভাপতি বলেন, ‘মাবিয়ার এখনো সম্ভাবনা রয়ে গেছে। এই মাসের শেষের দিকে একটি সভা রয়েছে। সেই সভার পরেই জানা যাবে মাবিয়া টোকিও অলিম্পিকে যাচ্ছেন কিনা।’

২০১৬ রিও অলিম্পিকে ফেডারেশন ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ দ্বন্দ্বে খেলতে পারেননি মাবিয়া। সেই সময় মাবিয়া না যেতে পারলেও মহিউদ্দিন গিয়েছিলেন অলিম্পিকে। সেই  প্রসঙ্গে বলেন, ‘মাবিয়া সেইবারই অলিম্পিকে খেলত। আমাদের কমিটি ভেঙে দেয়ায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। সেই সমস্যায় যেতে পারেননি। আমাকে আন্তর্জাতিক ভারত্তোলন ফেডারেশন বিশেষ আমন্ত্রণে টেকনিক্যাল অফিসিয়াল হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।’

১৯৮৮ সাল থেকে এত বার টানা অলিম্পিকে অংশগ্রহণে যাওয়ার মাধ্যম হিসেবে তিনি বলেন, ‘এশিয়ান ও আন্তর্জাতিক ভারত্তোলনের সঙ্গে আমি যুক্ত ত্রিশ বছরের বেশি। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে অন্য কোনো সংগঠকের এত দিনের সম্পৃক্ততা আছে বলে আমার জানা নেই। আন্তর্জাতিক ভারত্তোলন ফেডারেশনই আমাকে আমন্ত্রণ জানায়।’ মহিউদ্দিন শুধু অলিম্পিকেই নন গত ত্রিশ বছরে প্রায় সব গেমসেই জাজ, কর্মকর্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন, ‘১৯৯৮ ব্যাংকক এশিয়াডে আমি ব্যক্তিগত কারণে যেতে পারিনি। এছাড়া গত তিন দশকে প্রায় সব এশিয়াডে আমি ছিলাম।’

মহিউদ্দিন আহমেদ সামরিক কর্মকর্তা হলেও ক্রীড়াঙ্গনেই বেশি সময় কাটিয়েছেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক, বিকেএসপির পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। ত্রিশ বছরের বেশি সময় ভারত্তোলন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলেন। 

এজেড/এটি