মিলখা সিংয়ের সঙ্গে ফারহান আখতার/ফাইল ছবি

জীবনে কতোশত লড়াইয়ে যে জিতেছেন তিনি। পেয়েছেন একের পর এক সোনার পদক। কমনওয়েলথ গেমস, এশিয়ান গেমসে ভারতকে এনে দিয়েছেন সাফল্য। আরেকটু হলে তো অলিম্পিকেও আসতে যাচ্ছিল পদক। সেই মিলখা সিং জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন।  করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি মিলল না। ৯১ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলে মিলখা সিং।

বলিউডের সিনেমা ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ এই প্রজন্মের কাছেও পরিচিত করিয়েছে ১৯৫৮ কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জেতা অ্যাথলেটকে। এই দৌড়বিদকে নিয়ে করা ছবিতে তার নাম ভূমিকায় ছিলেন গুণী অভিনেতা ফারহান আখতার। মিলখা সিংয়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ভারত, তবে এই ক্ষতিটা বড্ড ব্যক্তিগত ফারহান আখতারের জন্য।

মিলখা সিংহের জীবনের গল্প রুপোলি পর্দায় তুলে ধরেছিলেন ফারহান আখতার। ২০১৩ সালে মুক্তি পায় সেই অটোবায়োগ্রাফি ‘ভাগ মিলখা ভাগ’। তার ব্যক্তিগত জীবন পর্দায় তুলে আনার অনুমতি দেওয়ায় মিলখাকে সম্মান জানাতে অভিনব উপহার দিয়েছিলেন পরিচালক রাকেশ সিংহ মেহরা। ১৯৫৮ সালে ছাপা একটি এক টাকার নোট দিয়েছিলেন তাকে। 

শনিবার সকালে ফারহান ইনস্টাগ্রামে খোলা চিঠি লিখে শ্রদ্ধা জানালেন মিলখাকে। বলিউডের এই অভিনেতা, পরিচালক লিখেছেন-

‘প্রিয় মিলখাজি, 

আমার হৃদয়ের একটা অংশ এখনও এটা বিশ্বাস করতে রাজি নয় যে আপনি নেই। সম্ভবত এটা বড় জেদী, যেটা হয়ত আপনার থেকেই আমি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। এটা আমার মনের সেই অংশটা যা কোনও লক্ষ্য স্থির করলে হাল ছাড়ে না।

সত্যিটা হল সবসময় বেঁচে থাকবেন আপনি। কারণ আপনি শুধু একজন বড় মনের, বড় মাপের মাটির মানুষ নন, তারচেয়েও বেশি কিছু। আপনি একটা স্বপ্ন, আপনি একটা ভাবনা। আপনি সেই বিশ্বাস যা প্রমাণ করে কঠিন অধ্যাবসায়, দৃঢ় নিশ্চয় দিয়ে একটা মানুষ ছুঁতে পারে আকাশ। 

আমাদের সবার জীবনকে ছুঁয়ে গেছেন আপনি। যারা আপনাকে নিজেদের বাবা কিংবা বন্ধু হিসাবে পেয়েছে, বিশ্বাস করুন সেটা তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় আর্শীবাদ। যারা পায়নি, তাদের কাছে আপনার গল্পটাই অনুপ্রেরণা, সাফল্যের মধ্যেও মানবতার জয়গান তো আপনার জীবন-কাহিনি। 

আমার সমস্ত হৃদয় দিয়ে ভালবাসি, আপনাকে।’

রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা পরিচালিত মিলখা সিংয়ের বায়োপিকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করতে গিয়ে দীর্ঘ সময় এই কিংবদন্তির সান্নিধ্যে কাটানোর সুযোগ পান ফারহান। ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ তার ক্যারিয়ারকে দিয়েছে ভিন্ন এক মাত্র। খোদ মিলখা সিং বেঁচে থাকতে বলেছিলেন,  'আমি ঠিক যেমনটা নিজেকে পর্দায় দেখতে চেয়েছিলাম, তেমনটাই দেখলাম।’

এটি/এনইউ