আয়োজকরা বলছেন ‘নিরাপদ ও সুরক্ষিত’ পরিবেশেই আয়োজন করা হবে অলিম্পিক। কিন্তু তাদের কথা যে বাস্তবে রূপ নেবে, সে আভাস মিলছে না আদৌ। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যেমনই থাকুক, অন্তত অলিম্পিকের ডেলিগেটরা সুরক্ষিত ছিলেন। এবার আঘাত এসেছে সেখানেই। প্রথম সদস্য হিসেবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে এক নাইজেরিয়ান সদস্যকে।  

স্থানীয় টিভি আসাহি জানাচ্ছে, নাইজেরিয়া দলের ৬০ বছর বয়সী এই সদস্য খেলোয়াড় নয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরেই কিছু উপসর্গসহ করোনা পজিটিভ হয়েছিলেন। তবে এবার তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তার বয়সের কারণে। যদিও তার সম্পর্কে কোনো বিশদ কিছু জানায়নি সংবাদ মাধ্যমটি। 

অলিম্পিককে সামনে রেখে এখন টোকিওতে চলছে জরুরী অবস্থা। আয়োজকরা কঠোর করোনা পরীক্ষা আর ডেলিগেটদের যাতায়াতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। মূলত জাপানের স্থানীয় জনগন, যাদের বেশিরভাগ গেমস বাতিলের পক্ষেই মত দিয়ে এসেছেন, তাদের জন্য পরিস্থিতিটা সহজ করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, মত রয়টার্সের।

তবে শহরটিতে করোনা পরিস্থিতি গেমসের পক্ষে কথা বলছে না মোটেও। গত মঙ্গলবারই ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড গড়েছে টোকিও। এর ফলে নাগরিকদের মধ্যে শঙ্কা কেবল বেড়েই চলেছে।

এদিকে অলিম্পিকে খেলতে আসা খেলোয়াড়দের মধ্যেও করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিটাকে কেবল জটিলের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু হাইপ্রোফাইল খেলোয়াড় কেবল করোনার কারণে প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন। টেনিস খেলোয়াড় অ্যালেক্স দি মিয়ানুর এ তালিকার যোগ দিয়েছেন সম্প্রতি। টেনিস র‍্যাঙ্কিংয়ের ১৫তম এই খেলোয়াড় দেশ ছাড়ার আগে আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়, ফলে তিনি খেলতে পারবেন না অলিম্পিকে। বিষয়টি সম্প্রতি জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান টেনিস কমিটি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বাস্কেটবল জানিয়েছে দলটির তারকা ব্র্যাডলি বিলও খেলতে পারবেন না অলিম্পিকে, কারণটা এই একই। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভাপতি থমাস বাখ বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন, খেলোয়াড়দের দ্বারা স্থানীয়দের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা শূন্য। তবে পরিস্থিতি মোটেও তেমনটা বলছে না। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অলিম্পিককে ঘিরে আশঙ্কাও।

এনইউ