১৯৮৪ সাল থেকে বাংলাদেশ অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছে। প্রতিবারই শুধু অংশগ্রহণের জন্য অংশগ্রহণ। এবারই একমাত্র পদক জয়ের মৃদু মনোবাসনা নিয়ে অলিম্পিক যাত্রা বাংলাদেশের। ১৬ কোটি দেশের আশা ভরসার কেন্দ্রে আরচ্যার রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী। রোমান সানা নিজ যোগ্যতায় অলিম্পিক খেলবেন তাই  তার উপরই মূলত প্রত্যাশা। টোকিওর উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে রোমান সানা ঢাকা পোস্টের সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার আরাফাত জোবায়েরের সঙ্গে কথা বলেছেন টোকিও অলিম্পিকস নিয়ে। 

প্রশ্ন: প্রথমে শুভ কামনা। অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো যাচ্ছেন। নিশ্চয়ই বাড়তি উন্মাদনা ও উত্তেজনা কাজ করছে। 
রোমান: অবশ্যই। আরচ্যারিতে আসার পর দেশের বাইরে অনেক বারই গিয়েছি। এই যাত্রাটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। সর্বোচ্চ ক্রীড়া আসরের জন্য রওনা। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। 

প্রশ্ন: এই প্রথমবার বাংলাদেশে অলিম্পিকের মতো আসরে পদক আশা করছে। আপনার উপরই মূলত প্রত্যাশা। দেশবাসীর সেই প্রত্যাশা কি পূরণ করতে সক্ষম হবেন?
রোমান: আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে দেশবাসীর আশা পূরণ করার চেষ্টা করব। অলিম্পিকে পদক পাওয়া খুবই কঠিন। এর জন্য প্রয়োজন অনেক পরিকল্পনা ও সুযোগ সুবিধা।

রিকার্ভ এককের পাশাপাশি দিয়া সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে লড়বেন মিশ্র দ্বৈত বিভাগেও/ফাইল ছবি

প্রশ্ন: আপনি তো প্রশিক্ষণের মধ্যেই ছিলেন বিদেশি কোচের অধীনে। বাইরে টুর্নামেন্টও খেলেছেন। আর কি সহায়তা প্রয়োজন বলে মনে করেন?
রোমান: যে সব ক্রীড়াবিদ দেশের সম্মান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বৃদ্ধি করছে। তাদের আর্থিক নিশ্চয়তার ব্যাপারে ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবকদের আরো একটু নজর দেয়ার অনুরোধ জানাব। আমরা দেশের জন্য লড়ি, সম্মান আনি। আমাদের পরিবারে আরো একটু আর্থিক ও সামাজিক স্বচ্ছলতা প্রয়োজন। 

প্রশ্ন: আশা করি আপনার এই অনুরোধ ক্রীড়াঙ্গনের কর্তাব্যক্তিরা গুরুত্বের সাথেই দেখবেন। আপনি রিকার্ভ ব্যক্তিগত ইভেন্টে খেলবেন। পাশাপাশি মিশ্র বিভাগেও খেলবেন। কোনটায় বেশি সম্ভাবনা দেখেন। 
রোমান: বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বা বিশ্বকাপে মিশ্র বিভাগে ২৪ জন নেয়। অলিম্পিকে ১৬’র মধ্যে স্থান করতে হবে। যতটুকু জানি ২৯ টি মিশ্র দল রয়েছে। এর মধ্যে টপ ১৬’র মধ্যে আসা খুবই কঠিন। এরপরও দিয়া ও আমার স্কোর যদি ভালো থাকে আশা করি ১৬’র মধ্যে আসতে পারব। এরপর ধীরে ধীরে যতটুকু উপরে যাওয়া যায়। 

প্রশ্ন: আর আপনার ব্যক্তিগত ইভেন্টে ?
রোমান: ব্যক্তিগত ইভেন্টেও অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। প্রথমে র্যাংকিং রাউন্ডে ভালো স্কোর গড়তে চাই। এর পর ধীরে স্টেজ বাই স্টেজ এগুতে চাই। 

প্রশ্ন: কিছুটা চাপ অনুভব করছেন কিনা। 
রোমান: অল্প একটু তো চাপ লাগছেই। দেশবাসীর প্রত্যাশা। তবে খেলার আগে এসব চাপ থেকে নিজেকেই দূরেই রাখব। 

প্রশ্ন: ফাইনাল ও বড় স্টেজে চাপে থাকেন আপনি। মানসিক দিক নিয়ে কেমন কাজ হয়েছে? 
রোমান: কোচ এটি নিয়ে কাজ করেছে। এবার আশা করি সে সমস্যা হবে না। 

প্রশ্ন: টোকিও অলিম্পিকসে এবার বেশ বিধি-নিষেধ। অনেক স্বাস্থ্য বিধি। এসব কি পারফরম্যান্সে কোনো প্রভাব ফেলতে পারে। 
রোমান: প্যারিস ও লুজানের দুইটি টুর্নামেন্ট এক্ষেত্রে আমাদের অনেক সুবিধা দেবে। করোনা পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট কিভাবে আমাদের খেলতে হয়। সেটি সমস্যা হবে না।

এজেড/এটি/এনইউ