ঈদ মানে আনন্দ। ক্রীড়াঙ্গনেও ঈদ বয়ে আনে ভিন্ন আনন্দের মাত্রা। এক সঙ্গে খেলাধূলা করতে করতে এক সময় হয় মনের আদান প্রদান। মনের আদান প্রদান থেকে অনেক ক্রীড়াবিদ নিজেদের মধ্যে জুটি গড়েছেন। তারকা ক্রীড়াবিদ দম্পতির কোরবানি ঈদ উদযাপন নিয়ে প্রথম পর্বে থাকছে দুই জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন এনায়েত উল্লাহ খান ও এলিনা সুলতানার গল্প।

দুই জনই জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। দুই জনই শাটলার। প্রেম করে ক্রীড়াঙ্গনে জুটি হওয়ার সংখ্যা অসংখ্য। তবে এনায়েত ও এলিনার জুটিটা একটু ব্যতিক্রম। সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এলিনা সুলতানা ব্যতিক্রম বিষয়টি জানালেন এভাবে,‌ ‘ও আমার চেয়ে সিনিয়র খেলোয়াড়। সব সময় আমাকে ভালো খেলার পরামর্শ দিত। ও আমাকে পছন্দ করত। আমরা সেভাবে প্রেম করিনি। এক পর্যায়ে ও পরিবারে প্রস্তাব দেয়। পরিবারই আমাকে ওর হাতে তুলে দিয়েছে।’

আরেকজন জাতীয় শাটলারকে জীবনসঙ্গী পেয়ে বেশ খুশি এলিনা। স্বামী-স্ত্রী দুই জনই একই পেশার হলে বোঝাপড়া দারুণ হয়। বছরের ঈদ আনন্দও হয় বোঝাপড়ার ভিত্তিতে। কোরবানির ঈদটা অধিকাংশ সময় এনায়েতের নারায়ণগঞ্জে কাটানো হয় এলিনার। এবার অবশ্য এলিনার বাড়িতে যাচ্ছে এনায়েত। এলিনা এখন খুলনা রয়েছেন তার বাবা মায়ের সাথে। এনায়েত খুলনায় গিয়েছেন। শ্বশুরবাড়ির কোরবানির ঈদ বেশ মজাই পান এনায়েত,‌ কোরবানির ঈদ উদযাপন দুই জায়গাই মজা। তবে আমার নারায়ণগঞ্জে হলে বাড়তি দায়িত্ব থাকে গরু কেনা, কাটাকাটি বন্টন সব কিছু। 

শ্বশুরবাড়ি গেলেও গরুর কেনাকাটায় জামাইকে সঙ্গী করেন এলিনার বাবা। এনায়েতের দরদাম সম্পর্কে এলিনা মজা করে বলেন,‌ ‘আমরা বাবা ভালো গরু চেনেন। এনায়েতকে হাটে নিতে মানা করি। কারণ খুলনা এলাকায় গরুর দাম তুলনামূলক কম। বেপারীরা দাম চাইলে এনায়েত বলে এত কম।’

সম্প্রতি এই শাটলার দম্পতি দ্বিতীয় সন্তানের বাবা-মা হয়েছেন। অন্য সময় হলে এনায়েতের বাড়িতে কাটত এলিনার কোরবানির ঈদ। নিজ বাড়িতে এবার থাকলেও এনায়েতের বাড়ির কোরবানির ভিন্ন মজা মিস করছেন প্রচুর,‌ ‘ওদের বাড়িতে অনেক মজা হয়। বাড়ির বৌ হিসেবে গরু কাটাকাটি ও বন্টনে দায়িত্ব বেশ উপভোগই করি।’ 

রাজধানীর রামপুরায় তাদের বাসা। সারা বছর এখানে থাকলেও দুই ঈদ কাটান তারা দুই জনের বাড়িতে। ২০১১ সালে বিয়ের পর থেকে এভাবেই চলছে। ঈদ উদযাপনে দুই বাড়িতে যাওয়ার রীতিটা দুই জনের সমঝোতাতেই। এই প্রসঙ্গে দুই জন বলেন,‌ ‘আমাদের দুই জনেরই পরিবার বিশেষ দিনে কাছে পেতে চায়। তাই একটি ঈদ ওখানে করি আরেকটি ঈদ অন্যখানে। এতে সবাই খুশি আমরাও খুশি।’ 

এজেড/এটি