অনেকটা গতানুগতিক ধারায় চলছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন। সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা নেই সেই অর্থে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে মত বিনিময় করে কয়েকটি ফেডারেশনকে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের মধ্যে রাখবে। এই লক্ষ্যে আজ দশটি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের আরও বেশি অংশগ্রহণ এবং পদক জিততে গতিশীলতা আনার প্রয়োজন বলে মনে করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। বৃহস্পতিবার দেশের ১০টি ডিসিপ্লিনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভায় এমন কথা বলেন তিনি। সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা বদরুল সাইফ (বি মোল্লা) বলেন, ‘যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মহোদয় ক্রীড়াঙ্গনে অগ্রগতি আনতে আরও গতিশীল করার কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে কিছু ফেডারেশনকে বিশেষ ভাবে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের কয়েক দিনের মধ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দিতে বলেছে।’ 

জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আহমেদুর রহমান বাবলু বলেন, ‘আমাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে (দুই সপ্তাহের মধ্যে) পরিকল্পনা, লক্ষ্য এবং বাজেটসহ একটি সুন্দর প্রস্তাবনা দিতে বলা হয়েছে। সেই প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’ 

ভার্চুয়াল সভা উপস্থিত ছিলেন হকি, সাতার, অ্যাথলেটিক্স, শুটিং, তায়কোয়ান্দো, কারাতে, ফেন্সিং, জিমন্যাস্টিক্স, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকরা। নির্বাহী কমিটির সভা থাকায় বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ মন্ত্রণালয়ের সভায় যোগ দিতে পারেননি। তার পরিবর্তে বাফুফের অন্য প্রতিনিধি সভায় যোগ দিয়েছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পর্যায়ক্রমে অন্য ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সভা করবে।

এজেড/এনইউ