আগামী বছর ১০-২৫ সেপ্টেম্বর চীনের হাংজু প্রদেশে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান গেমস। অলিম্পিকের পর দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ গেমসের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ১৫টি ফেডারেশনকে ইতোমধ্যে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের ইভেন্টের এন্ট্রি নিশ্চিত করতে বলেছে। 

সেই ১৫ ফেডারেশনের মধ্যে নেই বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। গেমসের মূল আকর্ষণ অ্যাথলেটিক্স ও সাঁতার। এশিয়ান গেমসের মতো আসরে থাকছে না অ্যাথলেটিক্স। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভায় অ্যাথলেটিক্স ছাড়া আরচ্যারি, ক্রিকেট (পুরুষ ও মহিলা), ফেন্সিং, ফুটবল (পুরুষ), হকি, গলফ (পুরুষ ও মহিলা), জিমন্যাস্টিক্স (পুরুষ), কাবাডি (পুরুষ ও মহিলা), কারাতে (পুরুষ ও মহিলা), ব্রিজ (পুরুষ), শ্যুটিং ( পুরুষ ও মহিলা), তায়কোয়ান্দো (পুরুষ ও মহিলা), ভারত্তোলন (পুরুষ ও মহিলা), দাবা (পুরুষ ও মহিলা), সাঁতার (পুরুষ ও মহিলা) ডিসিপ্লিনের অংশগ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে ।

এশিয়ান গেমসের মতো আসরে অ্যাথলেটিক্স না থাকার ব্যাপারে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এবং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু বলেন, ‘কমিটির সভায় এশিয়ান গেমসে অ্যাথলেটিক্সকে অর্ন্তভূক্ত করার ব্যাপারে আমার পক্ষ থেকে যথেষ্ট বক্তব্য এবং যুক্তি ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এশিয়ান গেমসের তালিকায় ঠাঁই পায়নি অ্যাথলেটিক্স।’

বিওএ সদস্য এবং ট্রেনিং কমিটির সম্পাদক একে সরকার অ্যাথলেটিক্স না থাকা প্রসঙ্গে বলেন, ‘কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সবার আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে ডিসিপ্লিন বাছাই হয়েছে। ২০১৯ সালে এসএ গেমসের পারফরম্যান্সও মূল্যায়ন করা হয়েছে।’ 

এশিয়ান গেমসের মতো মহাদেশীয় আসরে কাবাডি, ক্রিকেট ছাড়া অন্য ডিসিপ্লিনে বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা পদক আনতে পারেন না। এই গেমসে নিজেদের টাইমিং বাড়িয়ে উন্নতি করার পাশাপাশি এসএ গেমসের প্রস্তুতির মঞ্চ বাংলাদেশের অ্যাথলেটদের জন্য।

ফেডারেশনগুলো তাদের ইভেন্ট নিশ্চিত করার পর বিওএ তালিকাবদ্ধভাবে সেটা আয়োজক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে। এখনো কিছু সময় থাকায় অ্যাথলেটিক্সের আশা একেবারে শেষ হয়ে যায়নি বলে মনে করেন ট্রেনিং কমিটির সম্পাদক একে সরকার, ‘অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন যদি আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের জানায় সেক্ষেত্রে অলিম্পিকের নির্বাহী কমিটি ও উধ্বতন কতৃপক্ষ বিবেচনা করতে পারে।’

অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন বিওএকে চিঠি দিলে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ জন অ্যাথলেট যেতে পারবে এশিয়াডে। স্প্রিন্টের পরিবর্তে জাম্প ইভেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে তখন। 

২০১৪ সালে ইনচোন এশিয়ান গেমসে কয়েকটি ডিসিপ্লিনে এন্ট্রি নিশ্চিত করার পরও কমনওয়েলথ গেমসে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বাদ পড়েছিল  সাঁতার, অ্যাথলেটিকস, সাইক্লিং, জিমন্যাস্টিকস, ভারোত্তোলন, কুস্তি। ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস ও বক্সিং। এবার অবশ্য  এখন পর্যন্ত বাদের মধ্যেই রয়েছে অ্যাথলেটিকস। আসন্ন এশিয়াডে একমাত্র আরচ্যারি ডিসিপ্লিনেই সব ইভেন্টে খেলবে বাংলাদেশ। 

ডিসিপ্লিন                        পুরুষ  নারী মোট
আরচ্যারি                            ৮ ১৬
ক্রিকেট                         ১৫ ১৫ ৩০
ফেন্সিং                        ১ 
ফুটবল             ২২ ২২    ৪৪
হকি                 ১৮ ১৮ ৩৬
গলফ                            
জিমন্যাস্টিক্স                    
কাবাডি                         ১২ ১২ ২৪
কারাতে                        
ব্রিজ                            
শ্যুটিং                             ১০
তায়কোয়ান্দো                    
ভারত্তোলন                        
দাবা                           ১   ২
সাঁতার                        ১ 
মোট                            ৯২  ৪৮ ১৪০

* ফেডারেশনগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী